সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের একমাত্র গভীর নলকূপটি দিয়ে পানি না উঠায় তা উপকারে আসছে না এলাকাবাসীর। উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের ছোট গজনী এলাকায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আদিবাসীদের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওই গভীর নলকূপটি (সাবমারসিবল) স্থাপন করা হয়। বর্তমানে বিশুদ্ধ খাবার পানির সন্ধানে ওই গ্রামের শতশত পরিবারকে দূরদুরান্ত ছুটতে হচ্ছে। স্থানীয়রা ওই নলকূপটিকে শুধু নামেই গভীর নলকূপ নামে আখ্যা দিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, উপজেলার পাহাড়ি এলাকাগুলোতে বছরের শুরু থেকে মে মাস পর্যন্ত বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। তাই খাবার পানি সংকট নিরসনে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আদিবাসীদের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ছোট গজনী এলাকায় একটি গভীর নলকূপ (সাবমারসিবল) স্থাপন করা হয়।
ছোট গজনী এলাকার আমরোস মারাক বলেন, নলকূপটি স্থাপনের চার থেকে পাঁচ দিন এর সুফল ভোগ করে এলাকাবাসী। এরপর থেকে তা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। আজ পর্যন্ত ওই গভীর নলকূপটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
স্থানীয় তরুণ সাংমা বলেন, গভীর নলকূপটি অকেজো থাকায় নিয়মিত বিশুদ্ধ খাবার পানির সন্ধানে গ্রামের শতশত পরিবারকে দূরদুরান্ত ছুটতে হচ্ছে। ওই নলকূপটি শুধু নামেই গভীর নলকূপ।
উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ খকশি বলেন, ছোট গজনী এলাকার টিলা ও নামাপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের পানি খাওয়ার জন্য সাবমারসিবল স্থাপন করা হয়। নলকূপটি নষ্ট হয়নি। স্থানীয় আমরোস মারাকের বাড়ির বৈদ্যুতিক মিটার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ এনে সাবমারসিবলটি চালানো হয়। হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া তারগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে এটি বন্ধ আছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে পুনরায় সাবমারসিবলটি চালু করা হবে বলে জানান এ আদিবাসী নেতা।
খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ বলেন।