রশিদপুরের সেই ধর্ষক নিজাম গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার শিশু ধর্ষণকারী নিজাম উদ্দিন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে দিনেদুপুরে সাত বছরের কন্যাশিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মুদিদোকানি নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১২ মার্চ দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের নান্দিনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামি নিজাম উদ্দিন (৫৫) জামালপুর সদরের রশিদপুর ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত সলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি ৮ মার্চ দুপুরে স্থানীয় হতদরিদ্র পরিবারের সাত বছরের এক কন্যাশিশুকে আচার ও চকলেট দিয়ে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে যান স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের একটি কক্ষে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন নিজাম উদ্দিন। এ ঘটনার চারদিন পর ১১ মার্চ দুপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই দিনে নিজাম উদ্দিনকে আসামি করে জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ওই শিশুর নানী। শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।

ঘটনার পর থেকে ধর্ষণকারী নিজাম উদ্দিন প্রথমে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় শিশুটির পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ালে গ্রাম ছেড়ে পালান নিজাম উদ্দিন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১২ মার্চ দুপুর সোয়া ১টার দিকে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম সদর উপজেলার নান্দিনা এলাকা থেকে আসামি নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ১২ মার্চ দুপুর সকালে সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ বাছির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামি নিজাম উদ্দিন শিশুটিকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার পরিবারের স্বজনদের সাথেও কথা বলেছি। এটি অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।