জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫ শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ১১ জানুয়ারি সকাল ৯টায় জামালপুরে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ায়ে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক চিকিৎসক মো. আবুল কাসেম।
এ সময় ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক চিকিৎসক মো. আবুল কাসেম বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুদের রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ করে থাকে। তাই সরকার সারাদেশে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও একযোগে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করেছে। ভিটামিন এ ক্যাপসুলের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
তিনি বলেন, এবার ময়মনসিংহ বিভাগের সিটি কর্পোরেশনসহ ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুর এই চার জেলায় ৮ হাজার ৯৩২টি টিকাদান কেন্দ্রে আজকে ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৯২৫ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয় মাস-১১ মাস বয়সী এক লাখ ৮৮ হাজার ২০২ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস-৫৯ মাস বয়সী ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭২৩ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন সফল করতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়াও তিনি এই কর্মসূচি সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গণে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামালপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায়। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মো. কামাল উদ্দিন, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক চিকিৎসক মো. কামরুজ্জামান, উপ-সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম শফিকুজ্জামান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি জামালপুরের সিভিল সার্জন চিকিৎসক গৌতম রায় জানান, এবার জামালপুর জেলার সাতটি উপজেলায় এক হাজার ৬৯২টি টিকাদান কেন্দ্রে আজকে ৩ লাখ ২১ হাজার ৩০৭ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয় মাস-১১ মাস বয়সী ৩৫ হাজার ৫৪ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস-৫৯ মাস বয়সী দুই লাখ ৮৬ হাজার ২৫৩ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।