সরিষাবাড়ীতে মাকে গলা কেটে হত্যা, ঘাতক ছেলে আটক

সালেহা বেগমকে হত্যা ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ওই বাড়িতে ভিড় করেন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ধারালো ছুরি দিয়ে মাকে গলা কেটে হত্যা করেছে মাসুদ নামে এক পাষন্ড ছেলে। ২৬ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালেহা বেগম (৬২) ওই গ্রামের মৃত আলহাজ হাতেম আলীর স্ত্রী। পুলিশ ঘাতক ছেলে মাসুদুর রহমান মাসুদকে (২৬) আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ডোয়াইল পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাতেম আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম ও তার পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর রাতে ছেলে মাসুদুর রহমানের সাথে মায়ের কথা কাটা-কাটি হয়। পরে রাতে তার মা নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘাতক ছেলে মায়ের শোবার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। ঘুমন্ত বৃদ্ধ মাকে খাট থেকে টেনে নামিয়ে মাটিতে ফেলে বুকের উপর চেপে বসে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

এ সময় নিহতের বড় ছেলের বউ রোজিনা গোঙানোর শব্দ শুনে শাশুড়ির ঘরে গিয়ে দেখেন ঘাতক মাসুদ তার মায়ের বুকের ওপর রক্তমাখা ধারালো ছুরি নিয়ে বসে আছে। পুরো ঘর রক্তে লাল হয়ে আছে। পড়ে সে ঘরে প্রবেশ করতে গেলে তাকেও রক্তমাখা অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী সেখানে ছুটে গিয়ে ঘাতক মাসুদকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ তাকে আটক করে ও লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের বড় ছেলে মুফতি হাবিবুর রহমান বলেন, মাসুদ মায়ের প্রতি বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ করতো। সে তার বাবাকেও জীবিতাবস্থায় মারধর করতো। ২৬ ডিসেম্বর সকালে মাসুদ হঠাৎ মায়ের শোবার ঘরে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘাতক ছেলে মাসুদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে বাদী হয়ে ঘাতক মাসুদকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

sarkar furniture Ad
Green House Ad