সরিষাবাড়ীতে ঘাতক স্বামীর হাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে হামিদা বেগম (৪০) নামে চার সন্তারে জননীকে শ্বাসরোধে হত্যা অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে। ৫ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী অলিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী সুরুজ মিয়া পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী অলিপাড়া গ্রামে সুরুজ মিয়া ও তার স্ত্রী হামিদা বেগমের (৪০) মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক কলহ লেগেই ছিল। হামিদা বেগমকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন স্বামী সুরুজ মিয়া। ৫ অক্টোবর বিকেল পাঁচটার দিকে নিজবাড়ীর বসত ঘরে হামিদা বেগমের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। পরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায় সুরুজ মিয়া। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে হামিদার মরদেহ দাফনের চেষ্টা চালায় সুরুজ মিয়া।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে আটটার দিকে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামিদা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় যায়। ৬ অক্টোবর জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সুরুজ মিয়া পলাতক রয়েছেন।

নিহত হামিদা বেগমের মেয়ে সনিকা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবা নিজেই মাকে গলা চিপে ধরে মেরে ফেলেছে। আমার খালা শিল্পী বেগম বাবার কাছে জানতে চাইলে খালাকেও মারতে যায় আমার বাবা।’

সরিষাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আমিনুল ইসলাম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, সুরতহালে নিহত হামিদা বেগমের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিভাবে মৃত্যু হয়ে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।