জামালপুরে স্কুলছাত্র জিসান হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

জিসান হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর শহরের বহুল আলোচিত স্কুল শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোমিনুল ইসলাম জিসান হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শহীদ জিসান স্মৃতি পরিষদ। সংগঠনটির উদ্যোগে ৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে শহরের দয়াময়ী মোড়ে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

শহীদ জিসান স্মৃতি পরিষদের আহবায়ক আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুল ইসলাম দিলীপের সভাপতিত্বে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনিরুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ বিন জালাল প্লাবন, ইমরান সরকার, সাহেদ আলী, রবিউল ইসলাম ও রায়হান আলী রাজ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জামালপুর সিংহজানী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ও একই স্কুল শাখা ছাত্রলীগের আহবায়ক মোমিনুল ইসলাম জিসান (১৪) হত্যার দুই বছরেও এখনো পর্যন্ত মামলাটির প্রধান আসামি শহরের স্টেশনপাড়া এলাকার রনজু মিয়ার ছেলে মো. রাহীকে রহস্যজনক কারণে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলাটির অভিযোগপত্রও আদালতে দাখিল করেনি। নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার জিসানের দরিদ্র পরিবার ন্যায়বিচার পাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।’ বক্তারা অবিলম্বে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় সারা জেলার স্কুল ছাত্র-ছাত্রীসহ সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন।

জানা গেছে, স্কুলছাত্র মোমিনুল ইসলাম জিসান ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের মনোয়ারা সিনেমা হলে ছবি দেখতে যায়। একপর্যায়ে সিনেমার টিকিট কেনা নিয়ে স্টেশনপাড়া লম্বাগাছ এলাকার রনজু মিয়ার ছেলে মো. রাহী ও তার সহযোগীরা জিসানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। গুরুতর আহত জিসান ঘটনার রাতেই জামালপুর সদর হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় জিসানের দরিদ্র মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে রনজু মিয়ার ছেলে মো. রাহীকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নামে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্ত চলাকালে আরো আটজনকে গ্রেপ্তার করে এই মামলার আসামিভুক্ত করা হয়। মামলাটির প্রধান আসামি রাহীকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বাকি ১০ জন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শহরের বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেনি।