জামালপুরের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ শেষ করা হবে, আরডিএ কর্মশালায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, বর্তমান সরকারের গত দুই মেয়াদে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের জামালপুরের কৃর্তিমান দুই ব্যক্তি সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য মির্জা আজম এবং প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের বদৌলতে জামালপুরে ঈর্ষনীয় পর্যায়ে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরিষাবাড়িতে গত পাঁচ বছর সরকার দলীয় সংসদ সদস্য না থাকার কারণে লক্ষ্য করার মতো কোনো উন্নয়ন হয়নি। তিনি মুখ্য সমন্বয়ক এবং সংসদ সদস্য মির্জা আজমের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অন্যান্য উপজেলার সমপর্যায়ে নিয়ে আসতে সরিষাবাড়ির উন্নয়ন কাজে আপনাদের সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি। যে সকল জায়গায় এখনো উন্নয়ন হয়নি এবার আমরা সম্মিলিতভাবে সেদিকে নজর দিবো। সরকারের এই মেয়াদের ভিতরেই আমরা জেলার অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করবো ইনশাল্লাহ।

৩১ আগস্ট পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) আয়োজিত কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্প কার্যক্রম অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান কথাগুলো বলেন।

জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রির এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম, সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল, সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক প্রমুখ। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) এর মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম।

কর্মশালা সূত্র জানায়, জামালপুর জেলা ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ,বকশীগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্প কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি উপজেলায় তিন হাজার করে প্রান্তিক পরিবার বাছাই করা হবে। পরে প্রত্যেক পরিবারে একটি করে ৪০ হাজার টাকা মূল্যের গরুসহ অন্যান্য সম্পদ বিতরণ করা হবে। ইতিপূর্বে বাস্তবায়নকৃত চরজীবীকায়ন প্রকল্পের আদলে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।