ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ জামালপুরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণের ভোটের মূল্যায়ন হবে : ডক্টর ছামিউল হক সিডসের উদ্যোগে হাত ধোয়া দিবসে বড়দের হাত ধোয়ার কৌশল শেখালো শিশুরা গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে শেরপুরে জামায়াতের মানববন্ধন তবুও বহাল তবিয়তে চরপাকেরদহ ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান নিজাম দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শেরপুরে কলেজ শিক্ষকদের কর্মবিরতি ‘এনসিপি শুধুমাত্র সিটের রাজনীতির জন্য কারো সাথে জোট করবে না’ মাদারগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ, ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা জিল বাংলা চিনি কলে আখচাষিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কুলকান্দি ইউপির ভিজিডির ২০৬ বস্তা চাল গায়েব, তদন্তে মিলেছে সত্যতা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি বস্তা ৩০ কেজি ওজনের ২০৬ বস্তা ভিজিডি চাল গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউএনও’র নির্দেশে সরজমিনে তদন্ত করে চাল গায়েব হওয়ার সত্যতা পেয়েছেন ওই ইউনিয়নের ভিজিডি চাল বিতরণ তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে ১৩ জুন ইউএনও জানিয়েছেন।

জানা গেছে, কুলকান্দি ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারী দু:স্থ নারী রয়েছেন ২২৫ জন। ভিজিডি কার্ডধারীদের মার্চ ও এপ্রিল মাসের বরাদ্দের ৪৫০ বস্তা ভিজিডি চাল উত্তোলন করে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেট তার বাড়িতে অস্থায়ী ইউপি কার্যালয়ে মজুদ করেন। কিন্তু ঈদের আগে চালগুলো বিতরণ না করায় ভিজিডি কার্ডধারীদের মাঝে ক্ষোভ ও চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি হয়ে যাওয়ার সন্দেহ দেখা দেয়। পরে তারা এবং ইউপি সদস্যরা ইসলামপুরের ইউএনও’র কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও ইসলামপুর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মনি ও সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভিজিডি বিতরণ তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) মো. জাকির হোসেনকে চাল গায়েব হওয়ার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদারকি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার প্রতিনিধি অফিস সহকারী মোশারফর হোসেনকে সাথে নিয়ে ১১ জুন দুপুরে কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে তদন্তে যান। তারা মজুদ চালের বস্তা গুণে সেখানে ২০৬ বস্তা চাল কম পান। অর্থাৎ প্রতি বস্তা ৩০ কেজি হিসেবে ৬ মেট্রিক টন ১৮০ কেজি চাল পরিষদের গুদাম থেকে গায়েব হয়েছে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন চাল কম থাকার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর নিয়ে ওইদিনই ইউএনও’র কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

ভিজিডি তদারকি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘তদন্তে ২০৬ বস্তা চাল কম পাওয়া গেছে। ইউএনও স্যারকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

কুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেট অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘পরিষদ থেকে ভিজিডির কোনো চাল গায়েব হয়নি। অন্য গুদামে আছে। আমি ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছি। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘তদন্তে ২০৬ বস্তা ভিজিডি চাল ইউপি গুদাম থেকে গায়েব হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন চালগুলো নাকি অন্য গুদামে আছে। চালগুলো পরিষদের গুদামে ফেরত আনার জন্য উনি আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। যদি তিনি তা ফেরত দিতে ব্যর্থ হন তাহলে তার বিরুদ্ধে পরিষদের ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপলোডকারীর তথ্য

তওহীদভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামো গঠনে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা

কুলকান্দি ইউপির ভিজিডির ২০৬ বস্তা চাল গায়েব, তদন্তে মিলেছে সত্যতা

আপডেট সময় ০৬:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি বস্তা ৩০ কেজি ওজনের ২০৬ বস্তা ভিজিডি চাল গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউএনও’র নির্দেশে সরজমিনে তদন্ত করে চাল গায়েব হওয়ার সত্যতা পেয়েছেন ওই ইউনিয়নের ভিজিডি চাল বিতরণ তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে ১৩ জুন ইউএনও জানিয়েছেন।

জানা গেছে, কুলকান্দি ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারী দু:স্থ নারী রয়েছেন ২২৫ জন। ভিজিডি কার্ডধারীদের মার্চ ও এপ্রিল মাসের বরাদ্দের ৪৫০ বস্তা ভিজিডি চাল উত্তোলন করে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেট তার বাড়িতে অস্থায়ী ইউপি কার্যালয়ে মজুদ করেন। কিন্তু ঈদের আগে চালগুলো বিতরণ না করায় ভিজিডি কার্ডধারীদের মাঝে ক্ষোভ ও চালগুলো কালোবাজারে বিক্রি হয়ে যাওয়ার সন্দেহ দেখা দেয়। পরে তারা এবং ইউপি সদস্যরা ইসলামপুরের ইউএনও’র কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও ইসলামপুর উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মনি ও সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ভিজিডি বিতরণ তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) মো. জাকির হোসেনকে চাল গায়েব হওয়ার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদারকি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার প্রতিনিধি অফিস সহকারী মোশারফর হোসেনকে সাথে নিয়ে ১১ জুন দুপুরে কুলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদে তদন্তে যান। তারা মজুদ চালের বস্তা গুণে সেখানে ২০৬ বস্তা চাল কম পান। অর্থাৎ প্রতি বস্তা ৩০ কেজি হিসেবে ৬ মেট্রিক টন ১৮০ কেজি চাল পরিষদের গুদাম থেকে গায়েব হয়েছে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন চাল কম থাকার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের স্বীকারোক্তিতে স্বাক্ষর নিয়ে ওইদিনই ইউএনও’র কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

ভিজিডি তদারকি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘তদন্তে ২০৬ বস্তা চাল কম পাওয়া গেছে। ইউএনও স্যারকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

কুলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সনেট অভিযোগ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘পরিষদ থেকে ভিজিডির কোনো চাল গায়েব হয়নি। অন্য গুদামে আছে। আমি ইউএনওকে বিষয়টি জানিয়েছি। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছে।’

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘তদন্তে ২০৬ বস্তা ভিজিডি চাল ইউপি গুদাম থেকে গায়েব হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন চালগুলো নাকি অন্য গুদামে আছে। চালগুলো পরিষদের গুদামে ফেরত আনার জন্য উনি আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। যদি তিনি তা ফেরত দিতে ব্যর্থ হন তাহলে তার বিরুদ্ধে পরিষদের ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’