গোদাশিমলায় প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি-ঘর ভাংচুর, আহত ৫

হামলায় গুরুতর আহত রাহিম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, জামালপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের ডেংগারঘর গ্রামে ১১ জুন দুপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় পাঁচজন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন যাবত শিল্পপতি মো. আকরাম হোসেন লোকজনদের সাথে শিমুলতার-ডেংগারঘর রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়ে আসছে রফিকুল ইসলাম লিটনের লোকজনদের সাথে। এ বিষয়ে ১১ জুন সকালে গোদাশিমলা বাজারে শিল্পপতি আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে রফিকুল ইসলাম লিটনসহ এলাকাবাসীর নেতৃত্বে বাজারের লোকজন নিয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে পরিকল্পিতভাবে তারা শিল্পপতি আকরাম হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আকরাম হোসেনের বাড়ির জানালা, বাগানের বেশ কয়েকটি গাছ কেটে ফেলাসহ পাশ্ববর্তী আলহাজের বাড়িঘরে ভাংচুর করে দৃর্বৃত্তরা। এলাকাবাসী তাদের বাঁধা দিতে গেলে দুলাল হোসেনের ছেলে রাহিম (১৮), দুলাল (৪৫)সহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত রাহিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী আলহাজ বলেন, গোদাশিমলা গ্রামের প্রায় ৫০-৬০ জন মিলে ডেংগারঘর এলাকায় আমার বাড়িতে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ভয়ে আমরা কেউ ঘর থেকে বের হয়নি।

এ বিষয়ে শিল্পপতি আকরাম হোসেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ডেংগারঘর রাস্তাটি কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের সাথে আমার মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাড়ি-ঘরসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের আহত ও তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম লিটন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, আমি মানববন্ধনের পর চলে এসেছি। আমার কোনো লোকজন হামলার সাথে জড়িত নয়।

ঘটনার খবর পেয়ে জামালপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।