জামালপুরে র‌্যাবের অভিযানে উদ্ধার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী

র‌্যাবের অভিযানে আটক শিশু অপহরণকারী মো. হযরত আলী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর পৌরসভার ধোপাকুড়ি এলাকা থেকে অপহৃত চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া শিশুকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী মো. হযরত আলীকে (১৯) আটক করেছে র‌্যাব-১৪ জামালপুর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল। ৩১ মে দুপুর দু’টার দিকে তারা শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। শিশুটি ৩০ মে সন্ধ্যায় অপহৃত হয়েছিল।

অভিযোগে জানা গেছে, অপহৃত শিশুটি জামালপুর পৌরসভার তিরুথা সত্যপীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। সে স্থানীয় ধোপাকুড়ি গ্রামের দরিদ্র এক রং মিস্ত্রির মেয়ে। প্রতিবেশী কাঠমিস্ত্রি মো. হোসেন আলীর বখাটে ছেলে মো. হযরত আলী (১৯) ওই শিশুটিকে বেশ কিছু দিন ধরে স্কুলে ও কোচিংয়ে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। ৩০ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটি তাদের বাড়ির কাছে একটি দোকানে কিছু কেনার জন্য যাচ্ছিল। এ সময় হযরত আলী ও তার সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে জোর করে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে অপহরণ করে। এ ঘটনার পর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।

ঘটনার রাতেই ওই শিশুটির বাবা অপহরণকারী প্রতিবেশী বখাটে যুবক মো. হযরত আলীসহ কয়েকজনের নামে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ করেন। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাশ্বত দত্তের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাতেই মেয়েটিকে উদ্ধারে ধোপাকুড়ি গ্রামে অভিযান চালায়। তবে শিশুটির কোনো সন্ধান না পেয়ে পুলিশ রাতে অপহরণকারী ওই যুবকের চাচা মো. ইদ্রিস আলী ও তার মা পরানা বেগমকে আটক করেছে।

এদিকে র‌্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দলও ৩১ মে ভোর থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। র‌্যাব সদস্যরা দুপুর দু’টার দিকে জামালপুর পৌরসভার রামনগর গ্রামের আব্দুল কাদেরের বাড়ি থেকে অপহরণকারী হযরত আলীকে আটক এবং অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘অপহৃত শিশুটির বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অপহৃত শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। র‌্যাবের হাতে আটক অপহরণকারী হযরত আলীসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’