বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল ও কলেজের গঠন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিটি গঠন নিয়ে রশি টানাটানির ফলে দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় বেতন ভাতা পাচ্ছেন না এমপিওভূক্ত ৩৬ জন শিক্ষক কর্মচারী। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
জানা যায়, প্রশাসন ও কলেজের অধ্যক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন যাবত ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে রশি টানাটানি চলছে। তাদের দ্বন্দ্বের কারণে ২০১৮ সালে ১৫ মে ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি ভেঙে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে পূর্বের কমিটি বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এরপরে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি জমা দেন অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম। কিন্তু কমিটি অনুমোদনে বিলম্ব হওয়ায় আবারও হাইকোর্টে রিট করেন ওই অধ্যক্ষ। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৩ মার্চ দ্রুত কমিটি অনুমোদনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোটের নির্দেশের পরেও গত ১৯ মার্চ আহবায়ক কমিটি গঠনের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল জাল সৃষ্টি হয়। একদিকে কমিটি অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ অপরদিকে আহবায়ক কমিটি গঠনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ। এই নিয়ে বিপাকে পড়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোনো কমিটি গঠনে আমার বা কলেজের কোনো শিক্ষকের কোন প্রকার আপত্তি নেই। কিন্তু যেহেতু পূর্ণাঙ্গ একটি কমিটি জমা দেওয়া আছে সেই কমিটি অনুমোদন হলেই সমস্যার সমাধান হয়। এ ছাড়া বোর্ড যেহেতু আহবায়ক কমিটির জন্য নির্দেশ দিয়েছে তাতেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাই এলাকার কোনো শিক্ষানুরাগী, রাজনীতিবিদকে সভাপতি করে আহবায়ক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল আমার ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার জন্য প্রশাসনের লোকজনকে সভাপতি করে কমিটি গঠনের জন্য পায়তারা করছে। এলাকার গণ্যমান্য কাউকে সভাপতি করে আহবায়ক কমিটি হলে আমার কোন আপত্তি নেই।
তিনি আরও বলেন, যাদেরকে সভাপতি করে আহবায়ক কমিটি গঠনের কথা বলা হচ্ছে তাদের সাথে আমার মামলা মোকদ্দমা চলছে। তাই আমার সাথে যাদের মামলা চলছে তাদের কাউকে সভাপতি করা হলে প্রতিষ্ঠানের অনেক বড় ক্ষতি হবে। বিষয়টি সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোডের চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করছি।