আদর্শ বীজতলা তৈরিতে আগ্রহ বাড়ছে নকলার কৃষকদের

নকলায় একটি আদর্শ বীজতলা। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় আদর্শ বীজতলা বীজ খরচ সাশ্রয় করেছে ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। তাই ধান চাষিরা আদর্শ বীজতলার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন এবং দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে এ এলাকার কৃষকদের।

এই বীজতলা তৈরিতে বীজ কম লাগে ও রোপণের সময় চারা সাশ্রয় হচ্ছে। এ চারা দিয়ে লাইন লোগো পদ্ধতিতে ধান রোপণ করে গত কয়েক বছর ধরে ভালো ফলনও পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এতে বীজ খরচ কম হয়। বীজ তলায় রোগ বালাই নেই। জমিতে ধান রোপণে চারা কম লাগছে। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কৃষক লাভবান হচ্ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে নকলায় আদর্শ বীজতলা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর এ উপজেলার ৮০৬ হেক্টর বীজতলার মধ্যে ১৬০ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা করেছে কৃষক।

কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী দুই হাত চওড়া করে আদর্শ বীজতলা করছে কৃষকরা। প্রতি বীজতলার চারপাশে ১ ফুট নালা রাখা হচ্ছে। এতে তারা ভাল মানের চারা তৈরি করছে। ভাল মানের চারা পাওয়া যাচ্ছে এবং উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষকরা।

আদর্শ বীজতলার ওপরে কোনো বাড়তি পানি জমা হতে পারে না। প্রতিটি চারা সমানভাবে আলো, বাতাশ, সার ও পানি পায়। আগাছা দমন, সার প্রয়োগ, সেচ দেওয়া, বালাই দমন সহজ হয় এবং সুস্থ্য সবল চারা উৎপাদন হয়।

হিসাব মতে ১ শতক বীজতলার চারা দিয়ে প্রায় ২০ শতক ধানের জমি রোপণ করা যায়। এ কারণে মাত্র একটি বা দুটি চারা দিয়ে একটি গোছা তৈরি করা যায় বলে উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।