ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে জামালপুরে মানববন্ধন শেরপুরে পাখি শিকারির কারাদন্ড বকশীগঞ্জে বিদ্যালয়ে আকস্মিক পরিদর্শনে ইউএনও, দিলেন দিকনির্দেশনা টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন : শেরপুরে লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৮৩ হাজার শিশু ইসলামপুর উন্নয়ন কমিটির অর্থায়নে আনজুমান বেগমের দেহে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন মাদারগঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত মাদারগঞ্জে ছাগল ও চেক বিতরণ বিশ্ব ডাক দিবস আজ : লাল ডাকবাক্সে নেই চিঠি, স্মৃতি ডাকপিয়নের ঘণ্টাধ্বনি বকশীগঞ্জে মাদকব্যবসায়ী ছিনতাই, দুই পুলিশ আহত, আটক ৪

নানা আয়োজনে শুভ বড়দিন উদযাপিত

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। আনন্দ-উৎসব এবং নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় পালন করেছে এই বিশেষ দিনটি। এ উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হয়েছে, রাখা হয়েছে খাবারের আয়োজন।

এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া, মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে তার আগমন ঘটেছিল।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর গির্জায় গির্জায় আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনার। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার ছিল সরকারি ছুটি। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব গির্জাসহ খ্রিষ্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিনটি উদযাপন করছে। শিশুদের মধ্যে উপহারসামগ্রী বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন সান্তা ক্লজ। বড়দিন উপলক্ষে দেশের সব গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনে গোশালা স্থাপন এবং রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে।

এ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানো হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। বড়দিন উপলক্ষে গির্জার মূল ফটকের বাইরে বসেছে মেলা।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই গির্জাগুলোয় আসতে থাকেন যিশু ভক্তরা। কয়েকটি পর্বে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলযজ্ঞের যিশুকে আহ্বান করে চলে ভক্তদের প্রার্থনা। শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা যেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে এমনটাই প্রার্থনা তাদের।

এ ছাড়াও রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলসহ দেশের বড় হোটেলগুলোতেও বড়দিন উদযাপনের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।

শুভ বড়দিন উপলক্ষে সকালে বঙ্গভবনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাজধানীর পাশাপাশি গ্রামীণ আবহে গাজীপুরের নিকোলাসের গির্জায়ও ভক্তরা মেতে ওঠেন যিশু বন্দনায়। আজকের দিনে সত্য ও ন্যায়ের বাণী নিয়ে যিশুর আগমন মানব জীবনে যেন বারবার ফিরে আসে সে প্রত্যাশা ভক্তদের।
সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল : শামীম তালুকদার

নানা আয়োজনে শুভ বড়দিন উদযাপিত

আপডেট সময় ০৯:২৮:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। আনন্দ-উৎসব এবং নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় পালন করেছে এই বিশেষ দিনটি। এ উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হয়েছে, রাখা হয়েছে খাবারের আয়োজন।

এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া, মানব জাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে তার আগমন ঘটেছিল।

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর গির্জায় গির্জায় আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনার। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার ছিল সরকারি ছুটি। দিবসটি উপলক্ষে দেশের সব গির্জাসহ খ্রিষ্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে ও মোমবাতি জ্বালিয়ে দিনটি উদযাপন করছে। শিশুদের মধ্যে উপহারসামগ্রী বিনিময়ের মাধ্যমে আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছেন সান্তা ক্লজ। বড়দিন উপলক্ষে দেশের সব গির্জায় বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনে গোশালা স্থাপন এবং রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে।

এ উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানো হয়েছে। প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর রঙিন করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। বড়দিন উপলক্ষে গির্জার মূল ফটকের বাইরে বসেছে মেলা।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই গির্জাগুলোয় আসতে থাকেন যিশু ভক্তরা। কয়েকটি পর্বে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলযজ্ঞের যিশুকে আহ্বান করে চলে ভক্তদের প্রার্থনা। শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বার্তা যেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে এমনটাই প্রার্থনা তাদের।

এ ছাড়াও রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলসহ দেশের বড় হোটেলগুলোতেও বড়দিন উদযাপনের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।

শুভ বড়দিন উপলক্ষে সকালে বঙ্গভবনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাজধানীর পাশাপাশি গ্রামীণ আবহে গাজীপুরের নিকোলাসের গির্জায়ও ভক্তরা মেতে ওঠেন যিশু বন্দনায়। আজকের দিনে সত্য ও ন্যায়ের বাণী নিয়ে যিশুর আগমন মানব জীবনে যেন বারবার ফিরে আসে সে প্রত্যাশা ভক্তদের।
সূত্র : বাসস