সরিষাবাড়ীতে বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, পরিস্থিতি থমথমে

সরিষাবাড়ীতে বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় নৌকার পক্ষে নির্বাচনী পথসভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া অন্তত ৩০টি দোকান ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ২৪ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার আরামনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সোয়া ১১টার দিকে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনী মিছিল বের করে। পরে আরামনগর বাজারে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চিকিৎসকের মুরাদ হাসান বক্তব্য শুরু করেন। একপর্যায়ে পথসভার লোকজনের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে অগ্নিসংযোগে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় পুড়ে যায়। এ ছাড়া বাজারের অন্তত ২৫-৩০টি দোকান ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় উভয়পক্ষে অন্তত ২০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে প্রায় দু’ঘন্টা জামালপুর-সরিষাবাড়ী-ভুয়াপুর সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

হামলায় সময় আরামনগর বাজার মোড়ে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘পথসভার নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে। অতর্কিত হামলায় বাজারের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নীরিহ লোকজনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পথসভায় প্রার্থী মুরাদ হাসান বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে বেলজিয়াম প্রবাসী সেলিম ও শহিদ ভিপির নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা অতর্কিত ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলা করে। তারা নিজেদের কার্যালয়ে চেয়ার ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে আওয়ামী লীগের উপর দোষ চাপাতে চাইছে।’

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।’