জামালপুর-১ আসনে তিন হেভিওয়েট প্রার্থী

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে আবার মুখোমুখি হয়েছেন তিন হেভিওয়েট প্রার্থী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার। এর আগে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ (নৌকা ), বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত (ধানের শীষ) ও সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার (লাঙল ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। আর তৃতীয় স্থানে ছিলেন জাতীয় পার্টির এম এ সাত্তার।

এরপর নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত ও এম এ সাত্তার অংশ নেন নি। এই নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরই মধ্যে রাজনীতিতে নানা চড়াই-উৎরাই পার করে এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আবারো ভোট যুদ্ধে নেমেছেন ওই তিন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ । রাজনীতিতে তারা সবাই হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবেই পরিচিত। আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগের টিকিট নিয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। হয়েছেন মন্ত্রীও। দুই বার সংসদ সদস্য হয়েছেন জাতীয় পার্টির এম এ সাত্তারও। তিনি এরশাদ সরকারের আমলে মন্ত্রী হন।

এরপর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জামালপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করে বিএনপিকে আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় এবারও তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১৭ বছর পর তারা আবার নির্বাচনে অংশ নেয়ায় নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন এবার জমবে খেলা। বাঘা বাঘা নেতারা ভোট যুদ্ধে অংশ নেয়ায় উৎফুল্ল দেখা দিয়েছে সব দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে।

ইতোমধ্যে প্রার্থীরা এলাকায় গণসংযোগ, উন্নয়নের চিত্র ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। যার যার অবস্থান থেকে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

তবে ভোটারদের দাবি তারা এবার প্রার্থীদের কথায় ভোট দেবেন না। ব্যক্তি ও নানা দিক বিবেচনা করে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে রায় দেবেন।

উল্লেখ, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত (ধানের শীষ) ও সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মওলানা আবদুুল মজিদ (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির জাহাঙ্গীর আলম (মঞ্জু) (কাঁঠাল) , গণফোরামের সিরাজুল ইসলাম (উদীয়মান সূর্য) ও ন্যাপ এর সুরুজ্জামান (কুড়ে ঘর) ।

sarkar furniture Ad
Green House Ad