নকলায় ছাদকৃষিতে আশার আলো

নকলায় বড় ভবনগুলোর প্রায় ছাদেই ফুল-ফলের বাগান করা হচ্ছে। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

শফিউল আলম লাভলু
শেরপুর (নকলা) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

শেরপুর নকলা উপজেলায় ছাদকৃষির বিপ্লব শুরু হয়েছে। দেশের মোট কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষককে পরামর্শ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার বড় ভবনগুলোর প্রায় ছাদেই দৃষ্টিনন্দন ফুল-ফলের বাগান গড়ে উঠেছে। আর ওইসব বাগানে বিভিন্ন ফুল, কাচামরিচ, পুই শাক, লাউ, মাল্টা, কমলা, লেবু, বারমাইসা আম, আমড়া ও মৌসুমি শাকসবজির চাষ করা হচ্ছে। এতে করে মোট জমির ব্যবহার বাড়ছে, বাড়ছে কৃষি আয়। অল্প হলেও মিটছে পুষ্টি চাহিদা। কিছু হলেও শাকসবজি ও ফুল-ফল ক্রয় বাবত টাকা বেঁচে যাচ্ছে কৃষক তথা বাসাবাড়ির মালিকদের।

নকলা পৌর ভবন, মরিয়ম ভিলা, পারফেক্ট পাবলিক স্কুল ও আব্দুল্লাহ ভিলাসহ শহরের প্রায় ছাদে ছাদকৃষি তথা ছাদবাগান রয়েছে। এ ছাদবাগানের সুবিধাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গবাদিপশুর দ্বারা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া সরকারি প্রতিটি দপ্তরের ভবনের ছাদগুলোয় এমন বাগান তথা ছাদকৃষির ব্যবস্থা করতে পারলে বাড়বে কর্মসংস্থান, পক্ষান্তরে কমবে বেকারত্ব এমনটাই আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের নেতারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, ছাদ কৃষি সম্প্রসারণের জন্য ভবনের ছাদে বাগান গড়ার লক্ষ্যে তাদের নিয়ে কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠে কাজ করছেন। এরই মধ্যে নকলা শহরের প্রায় ভবনের ছাদেই মালিকরা নিজ উদ্যোগে বাগান গড়ে তুলেছেন। বাকি ছাদগুলো যেন ছাদকৃষিতে পরিণত করা যায়, এর জন্য বাসা-মালিকদের সচেতন করা হচ্ছে।

নকলা পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই উপজেলার সবক’টি ভবনের ছাদেই বাগান গড়ে উঠবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় পৌর ভবনের ছাদে বাগান করি। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হতে পারে।