মেলান্দহের মাহমুদপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (অ্যাডহক) কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যবসায়ী জিল্লুর রহমান। ৪ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার শিক্ষা বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। নবনির্বাচিত সভাপতি জিল্লুর রহমান মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চরগোবিন্দী এলাকার ডাক্তার আব্দুল খালেকের ছেলে।
চরগোবিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং (অ্যাডহক) কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ, অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন ডাক্তার রইচ উদ্দিন ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসান লিটন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি ভেঙে দেয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ড। এরপর থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিদ্যালয়টির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী সভাপতিসহ চার সদস্য বিশিষ্ট অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিববর্তন করে চরগোবিন্দী গ্রামের নামে চরগোবিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করে সরকার।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ মো. আবু সাঈদ এ প্রতিবেদককে বলেন, ২০২৪ সালে সরকার পতনের পর থেকে স্থানীয়ভাবে সভাপতি ছিল না। ৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বোর্ড সভাপতিসহ চার সদস্যের কমিটি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। আশা করি নতুন কমিটির মাধ্যমে বিদ্যালয়টি উন্নতির দিকে ধাবিত হবে।
চরগোবিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত সভাপতি জিল্লুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী এই চরগোবিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত করায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। অনেক দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। সামনের দিনে বিদ্যালয়টি যাতে শিক্ষার মানোন্নয়নের পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব। এছাড়াও গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে বিদ্যালয়টির শিক্ষা ব্যাবস্থা থেকে শুরু করে প্রত্যেক জায়গায় অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যালয়টির সাবেক প্রধান শিক্ষক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহসানুল্লাহ আব্দুল হামিদ দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। জাতীয়করণের উপযোগী হলেও তার অবহেলার কারণে সেই সুবিধা থেকে বিদ্যালয়টি বঞ্চিত হয়েছে। এ জন্য এলাকাবাসী তার উপর ক্ষুব্ধ। স্কুল পরিচালনায় সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।