জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান। তিনি ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী, বিএনপিনেতা ও সাধারণ ভুক্তভোগেী পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শ করেন।
জানা গেছে, উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নে অসময়ে যুমনা নদীর ভাঙনের কারণে চর ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামে প্রায় দু্ই শতাধিক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। হুমকির মুখে রয়েছে হাজীপাড়া গ্রামসহ চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
৮ এপ্রিল সকালে চরডাকাতিয়াপাড়া গ্রামের নদী ভাঙন এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন ইউএনও মো. আতাউর রহমান। নদী ভাঙনরোধে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে জরুরি ভিত্তিতে প্রায় সাত হাজার জিও ব্যাগ ফেলার ফেলার ব্যবস্থা করেন।

পরিদর্শন ও জিও ব্যাগ ফেলার সময় পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বিভাগ শাখার কর্মকর্তা মো. হাসান হাবিব, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ সাদা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সাজু, কৃষকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা রেজাউল করিম বাবলু, পৌর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব মুখলেছুর রহমান মুখলেছ, উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ইউএনও’র সাথে ছিলেন।
পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, চর ডাকাতিয়াপাড়ায় যমুনা নদীর ভাঙন রোধ করার জন্য জরুরিভাবে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৫ মিটার ভাঙনে প্রায় সাত হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও কাজ করা হবে।
ইউএনও মো. আতাউর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, যমুনা নদী ভাঙনের শিকার আমরা বহুদিন ধরে। চিকাজানি ইউনিয়নের চর ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামটি অসময়ে নদী ভাঙনের অনেক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙনের সংবাদ পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুতভাবে আজ জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করেছি। আর যাতে নদী ভাঙনের শিকার না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সার্মথ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।