জামালপুরে এপির উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ

জামালপুরে এপির উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিকট সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমনের ভয়বহতার হাত থেকে মানুষকে রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সংঘ বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২ ফেব্রæয়ারি উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাস্তবায়নাধীন এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এর উদ্যোগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য স্বেচ্ছাসেবকদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকার।

জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের এপি ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, হযরত শাহজামাল (রহ.) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান প্রমুখ। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকারের হাতে ৬ হাজার মাস্ক ও ১৮০টি হ্যান্ড স্যানিটাইজার তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উত্তম কুমার সরকার উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন অতিমারির এসময় প্রশিক্ষণের উদ্যোগ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ সত্যিই একটা শুভ উদ্যোগ। এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তিনি সংস্থা দুটির কাছে অনুরোধ জানান।

শিশুদের মৌলিক চাহিদা পুরণের জন্যে খানার স্থায়ী আয়ের উৎসে সহযোগিতা, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, ওয়াস, শিশু সুরক্ষা এবং অংশগ্রহণ কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের অবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে জামালপুরে শুরু হয়েছে এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) নামে ১০ বছর মেয়াদী কর্মসূচি। জামালপুরের ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘ এপি বাস্তবায়ন করছে।

প্রশিক্ষণ সূত্র জানায়, উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক এরিয়া প্রোগ্রামটি জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীরচর, শরিফপুর ইউনিয়ন এবং জামালপুর পৌরসভার ১, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩৯টি গ্রামে ২৩ হাজার ২৮২ জন উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। কর্মসূচির সকল কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যক্রমের মধ্যে জীবীকায়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াস এবং স্পন্সরশীপ অন্যতম। এরমধ্যে আবার খানা জরিপ, দক্ষতা উন্নয়ন, পরিবেশ সম্মত গ্রাম প্রতিষ্ঠা, জিঙ্ক ধান উৎপাদন, অতিদারিদ্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দল গঠন, সক্ষমতার বিকাশ ঘটানো, প্রসবপূর্ব ও প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু অধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, বিপদাপন্ন শিশুর তালিকা তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। কর্মসূচি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে হংকং ।