জামালপুরে হিজড়াদের ব্যবসা উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক ১০ম ব্যাচ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত

জামালপুরে হিজড়াদের ব্যবসা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী হিজড়াদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পরিবার ও ব্যবসা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ১০ম ও শেষ প্রশিক্ষণ ব্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ।

উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবু ইলিয়াস মল্লিক, উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, প্রকল্প কর্মকর্তা আরজু আহম্মেদ, হিজড়াদের গুরু মা দেলোয়ার হিজড়া, চন্দ্রা হিজড়া প্রমুখ । ২ ফেব্রæয়ারি উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসির হলরুমে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় ।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্টিল কোম্পানি বিএসআরএম গ্রুপের অর্থায়নে এবং উন্নয়ন সংঘের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন উন্নয়ন সংঘের হিজড়া উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লিটন সরকার, প্রকল্প কর্মকর্তা আরজু আহম্মেদ। প্রতি ব্যাচে ২৫ জন করে হিজড়া সদস্য অংশ নেন। ১০ ব্যাচে মোট ২৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

জানা যায়, হিজড়াদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জামালপুরে প্রাথমিকভাবে ২৫০ জন হিজড়াদের প্রকল্পের উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৪ জন কর্মী নিয়োগ ছাড়াও ফোকাল পারসন ও হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ হিজড়াদের চলমান আয়ের উৎস এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিদ্যমান সুযোগগুলো চিহ্নিত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানান। এ প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে চাহিদা নিরুপণ নিশ্চিত করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে। তাদের মাঝে সহজশর্তে ঋণ বিতরণসহ শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের চিন্তা করা হয়েছে। সরকারিভাবে আবাসন সুবিধা, পরিবারে তাদেরকে সংযুক্তি করা, সরকারি ভাতা নিশ্চিত করা, বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করাসহ উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় হিজড়াদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে তাদের সম্মান ও মানবাধিকার সুরক্ষা করা হবে।