বকশীগঞ্জে কৃষি জমি বিনষ্ট করে খাল খননের পাঁয়তারা

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জে কৃষি জমি বিনষ্ট করে অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিতভাবে খাল খননের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় এলাকার মানুষ ও জমির মালিকদের সাথে পরামর্শ না করে খাল খননের উদ্যোগ নেয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জমির মালিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী অপরিকল্পিত ও অপ্রয়োজনীয় খাল খনন প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ১৭ নভেম্বর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের গাজীরপাড়া বিল থেকে ডেরুরবিল, বিলেরপাড়, ঠান্ডারবন্দ হয়ে কামালের বার্ত্তী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার একটি খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এলজিইডির জেলা ও উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির পরামর্শে জমি মালিকদের সাথে কথা না বলে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যায়। সম্প্রতি এলজিইডির পক্ষ থেকে খাল খননের জন্য পরিমাপের জন্য গেলে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। কার স্বার্থে কৃষি জমি নষ্ট করে খাল খনন করা হবে এমন প্রশ্ন উঠেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য সিঙ্গিডোবা বিল থেকে গাজীরপাড়া হয়ে কাটাখালি নামে একটি খালটি রয়েছে সেটিই যথেষ্ঠ। আবাদি জমি নষ্ট করে নতুন করে খাল খননের কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু তিন ফসলি নষ্ট করে অপ্রয়োজনীয় খাল খনন কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাই তারা খাল খনন প্রক্রিয়া বন্ধ করতে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এবিষয়ে বকশীগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামছুল হক জানান, তিনি নতুন যোগদান করেছেন। প্রায় দেড় বছর আগে গাজীর পাড়া সিঙ্গিডোবা হতে কামালের বার্ত্তী পর্যন্ত খাল খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়। জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করেই খাল খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল কিন্তু অনেকেই না বুঝে খাল খনন প্রক্রিয়ার বিরোধীতা করছেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার জানান, আগামী মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। সরকারি স্বার্থ ও জনগণের স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।