ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বকশীগঞ্জে ভুয়া কাজীকে ৬ মাসের কারাদন্ড, বর ও কনের বাবাকে অর্থদন্ড

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় নিজ বাড়িতে বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের চেষ্টা করায় এক ভুয়া কাজীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় বরকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও মেয়ের বাবাকেও ১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

১২ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা এ দন্ডাদেশ দেন।

জানা যায়, পৌর শহরের মেষের চর গ্রামের রাজুমিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (১৯) এর সাথে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ভাটিয়া পাড়া গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার নাবালিকা মেয়ে ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তারের (১৩) বিয়ে ঠিক হয়।

দুজনের বয়স কম থাকায় পৌর এলাকার মাস্টার বাড়ি গ্রামের ভুয়া কাজী রফিকুল ইসলাম তার বাড়িতেই গোপনে বিয়ের কার্যক্রম শুরু করেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ ইউএনও মুুন মুন জাহান লিজা ও বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট ওই ভুয়া কাজীর বাড়িতে হানা দেয়।

এ সময় বাল্যবিবাহের চেষ্টা করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভুয়া কাজী রফিকুল ইসলামকে (৫০) ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা।

একই সঙ্গে বর রাসেল মিয়াকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও মেয়ের বাবা ইয়াছিন মিয়াকেও ১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। পরে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান বরের বাবা ও মেয়ের বাবা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বকশীগঞ্জে ভুয়া কাজীকে ৬ মাসের কারাদন্ড, বর ও কনের বাবাকে অর্থদন্ড

আপডেট সময় ০৭:৪১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০২০

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় নিজ বাড়িতে বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের চেষ্টা করায় এক ভুয়া কাজীকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ সময় বরকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও মেয়ের বাবাকেও ১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

১২ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা এ দন্ডাদেশ দেন।

জানা যায়, পৌর শহরের মেষের চর গ্রামের রাজুমিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (১৯) এর সাথে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ভাটিয়া পাড়া গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার নাবালিকা মেয়ে ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তারের (১৩) বিয়ে ঠিক হয়।

দুজনের বয়স কম থাকায় পৌর এলাকার মাস্টার বাড়ি গ্রামের ভুয়া কাজী রফিকুল ইসলাম তার বাড়িতেই গোপনে বিয়ের কার্যক্রম শুরু করেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ ইউএনও মুুন মুন জাহান লিজা ও বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট ওই ভুয়া কাজীর বাড়িতে হানা দেয়।

এ সময় বাল্যবিবাহের চেষ্টা করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভুয়া কাজী রফিকুল ইসলামকে (৫০) ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা।

একই সঙ্গে বর রাসেল মিয়াকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও মেয়ের বাবা ইয়াছিন মিয়াকেও ১ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। পরে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান বরের বাবা ও মেয়ের বাবা।