দেওয়ানগঞ্জে বাড়ছে পানি, দিশেহারা মানুষ

চুকাইবাড়ী বালুগ্রাম থেকে আব্দুল করিম পরিবার সন্তান নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন। ছবিটি ১২ জুলাই দুপুরে তোলা হয়েছে। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

গত পাঁচদিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, দশানি, জিঞ্জিরাম নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় কড়া নাড়াচ্ছে বন্যা। এতে দিশেহারা হয়ে পরেছে নিচু এলাকার মানুষ।

১২ জুলাই দুপুরে উপজেলার চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের বালুগ্রাম থেকে পানিবন্দি আব্দুল করিম পরিবার সন্তান নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় জানান, ‘বাবা! পানির যন্ত্রনায় আর বাঁচার উপায় নাই। প্রথম বন্যায় বাড়ি-ঘর তলে গেছে পাক করে খাবার গোছা নাই। আজকে সকাল থেকে না খেয়ে আছি। আশ্রয় কেন্দ্রে যেয়ে পাক করে খামু’।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাহাদুরাবাদ ঘাট পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ১৯.৬৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্রহ্মপুত্র পানি পরিমাপক গোলাম মোস্তফা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৫.৫৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সাইদ জানিয়েছেন, ভারতে প্রচুর পরিমাণ বৃদ্ধিপাতের কারণে দ্রুত যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী বৃষ্টিপাত আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। যমুনার পানি বৃদ্ধি আরও ৪-৫ দিন অব্যাহত থাকবে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি বৃদ্ধি থাকায় উপজেলার ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

প্রথম দফায় বন্যায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতির কারণে কাঁচা বাজারে সবজির দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচা মরিচের দাম লাগামের বাইরে থাকায় প্রতিকেজি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বন্যার কারণে গোখাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।