বন্যায় তলিয়েছে সরিষাবাড়ীর ১৫০৫ হেক্টর ফসলি জমি

সরিষাবাড়ীতে বন্যায় প্লাবিত একটি এলাকা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১১০টি গ্রামের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে ১ হাজার ৬০৩টি পরিবারের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে পাট, আউশ ধান, বোরো ধান, ভুট্টা, তীল, সবজি খেত, বীজতলা ও গোচারণ ভূমিসহ ১৫০৫ হেক্টর ফসলি জমি। ৩০ জুন দুপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টের বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জানা গেছে, বন্যার পানিতে উপজেলার পিংনা, আওনা, গোগলদিঘা, সাতপোয়া, ভাটারা, কামরাবাদ, ডোয়াইল ও পৌরসভার কিছু অংশসহ বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে ১৬০৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বীজতলা ফসলি জমি ১৫০৫ হেক্টর যাতে বোরো ৩০,আউশ ৭০, পাট ১০৩৫০, শাক সবজি ৪০, তীল ১০ ও ভূটা ৫ হেক্টর পানিতে নিমোজিত হয়ে গেছে। গোচারণ ভূমির ক্ষতি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার মতো। এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারি সহায়তা এসেছে ৫ টন জি আর চাউল ও নগদ ৩৯ হাজার টাকা।

এদিকে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও খাবারের সংকট দেখা দিচ্ছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার বাঁধে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বন্যায় উপজেলায় ১৫০৫ হেক্টর বীজতলা ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। বন্যা পানি এভাবে বৃদ্ধি পেলে আরো বেশি ক্ষতি হতে পারে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমাউন কবীর এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা খোঁজ রাখছি। সরকারি ভাবে ৫ মে.টন চাল ও ৩৯ হাজার টাকা আমাদের হাতে রয়েছে। অবস্থা বিবেচনায় কওে চাহিদা পাঠানো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে যে সব জায়গাতে মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সেখানে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।