মাদারগঞ্জ হাসপাতালের স্টাফরা হোম কোয়ারেন্টিনে

মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র

জাহিদুর রহমান উজ্জল, মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ফার্মাসিস্টের শরীরে করোনা সংক্রামক শনাক্ত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ রোগীর সাথে সংস্পর্শে আসা সকল স্টাফদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে উপজেলার ১০০ শয্যার হাসপাতালটির ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম।

এদিকে আক্রান্ত রোগীকে ৯ এপ্রিল দুপুরে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এম্বুলেন্সযোগে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীর বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার গো হাট্টা গ্রামে। তিনি গত শুক্রবার (৩ এপ্রিল) গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করেন। এবং স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করে ৪ এপ্রির কর্মস্থলে যোগদান করেন। তিনি প্রতিদিন হাসপাতালের বহির বিভাগ থেকে ওষুধ বিতরণ ও জরুরী বিভাগ এবং আবাসিক বিভাগের ওষুধ সবরাহ করতেন। এরপর তার শরীরে উপসর্গ দেখা দিলে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান এবং ৮ এপ্রিল বিকালে তার প্রজেটিভ প্রতিবেদন আসে।

জামালপুর জেলা সিভিল সার্জন চিকিৎসক আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, ওই ফার্মাসিস্টের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ওই হাসপাতালে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ রোগীর সংস্পর্শে আসা ডাক্তার ও স্টাফদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, সংশ্লিষ্টরা ছাড়া বাকি স্টাফ দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা কার্য্যক্রম চলবে।

মাদারগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানান, সীমিত আকারে জরুরী বিভাগ চলছে। সবগুলো স্টাফ না থাকায় তারা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে চট্টগ্রামের ইটভাটা থেকে ৬০ জন শ্রমিক ট্রাকযোগে মাদারগঞ্জে এলে মাদারগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির ও বালিজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক তাদেরকে মাদারগঞ্জ পাইলট হাইস্কুল মাঠে জড়ো করে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার অঙ্গীকার করিয়ে বাড়িতে পাঠান।