বকশীগঞ্জে সাতজন হোম কোয়ারেন্টাইনে, প্রস্তুত আইসোলেশন কক্ষ!

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আতঙ্কে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের মানুষ। বাংলাদেশও এই আতঙ্কের বাইরে নয়।তবে স্বাস্থ্য বিভাগ ভাইরাস ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাত বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে হোম কোরারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন তারা। প্রতিনিয়ত খোঁজ রাখছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিদেশ ফেরতের ১৪ দিন পর্যন্ত তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। কেউ যদি এর ব্যতয় ঘটায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদের সাথে কথা বলতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের লাউচাপড়া গ্রামের একজন ১৬ মার্চ ও আরেকজন ১১ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন।

১০ মার্চ ওমান থেকে দেশে ফিরে নিজ বাড়িতে রয়েছেন বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ঝুড়ারপাড় গ্রামের একজন এবং গত ১২ মার্চ ওমান থেকে ফিরেছেন একই গ্রামের আরো দু’জন।

বগারচর ইউনিয়নের ঘাসিরপাড়া গ্রামের এক ব্যক্তি ১২ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে এবং ১১ মার্চ একই ইউনিয়নের সারমারা গ্রামের এক ব্যক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাড়িতে ফিরেছেন।

এরা সবাই বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নজরদারিতে রয়েছেন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক প্রতাপ নন্দী জানান, বিদেশ ফেরত সাতজনকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের জন্য কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

তিনি আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেউ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের এখানে রাখা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ বিদেশ ফিরলেই তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।