সরিষাবাড়ীতে রেলওয়ের জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৭

দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় রেলওয়ের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার সাতপোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত সাতজন নারী আহত হয়েছে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, সরিষাবাড়ী পৌর এলাকায় সাতপোয়া গ্রামের শাজাহান হোসেন সাজুর ছেলে শামীম হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের ১৩ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। শামীমের অগোচরে চাচা আবুল হোসেন ওরফে আবুল রাজাকার তার স্ত্রী রওশনারা নামে রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লীজ করে নেয়। এ নিয়ে ভাতিজা শামীম হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রেলওয়ের বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে আবুল হোসেনের পরিবার জোরপূর্বক ইট ও বালু রেখে বাউন্ডারি বেড়া দিতে গেলে এতে বাধা দেয় শামীমের সমর্থকরা। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায় দু’পক্ষের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়।

সংঘর্ষে গুরুতর আহতরা হলেন- মালা বেগম (৪০), তায়েবা আক্তার (১৫), রওশনারা বেগম ( ৫০), ঊষা আক্তার (২১), আফরোজা বেগম খুশিকে (২৪) সরিষাবাড়ী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ী চলে যায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রওশনারা বেগম জানান, ওই জমি আমার নামে লীজ করে নিয়েছি। বাউন্ডারি করতে গেলে মালা বেগম আমাদের বাধা দেয়। ভাতিজার সাথে তো আমাদের কোন বিরোধ নেই।

শামীম হোসেন বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, বাপ-চাচারা একসাথে সবাই জমি আবাদ করতো এক সময়। চাচা আব্দুল হোসেনের অংশ আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ আমি বাবার অংশ রেলের ওই ১২ শতাংশ জমি আবাদ করে আসছি। আমাদের না জানিয়ে চাচা তার স্ত্রী রওশনারা বেগমের নামে ওই জমি লীজ করে নিয়ে আসে। বিরোধপূর্ণ জমিতে আবুল হোসেন ও তার মেয়েরা জোরপূর্বক দখল করতে আসলে আরেকটি পক্ষ বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল হোসেন ও তার পরিবার মালা বেগম ও স্কুল পড়ুয়া মেয়ে তায়েবা আক্তারকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।

সরিষাবাড়ীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, রেলের জমি নিয়ে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।