জামালপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অন্যতম অংশ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় জামালপুরে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজীব কুমার সরকার।

‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বাছির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়াত আলী ফকির, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ জলিল, জামালপুর চেম্বার এন্ড কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিচালক মঞ্জুরুল এহসান লাঞ্জু, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নির্বাহী হাকিম মো. নজরুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথগ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর একই বছরের ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এই অস্থায়ী সরকারের সফল নেতৃত্বে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়।

বক্তারা আরো বলেন, এই ঐতিহাসিক ঘটনা এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। প্রকৃত ইতিহাস জানার মধ্য দিয়েই দেশপ্রেম সৃষ্টি হবে এবং একজন খাঁটি দেশপ্রেমিকের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব।