ঢাকা ০২:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই ইসলামপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা পেল ঢেউটিন ইসলামপুরে পৌর নাগরিকসেবা নিশ্চিতের দাবিতে হাফিজ পাঠাগারের স্মারকলিপি পেশ দেওয়ানগঞ্জে দিনব্যাপী পুষ্টি মেলায় বাউল গান ও সমৃদ্ধ আলোচনা অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম প্রাণ প্রকৃতি শিক্ষা স্কুল নিসর্গপাঠ চালু হল সরিষাবাড়ীতে জাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির নতুন কমিটির সভাপতি রাবেয়া, সম্পাদক ইয়াসির দেওয়ানগঞ্জে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন সরিষাবাড়ীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মালিকসহ ৭ জনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে বিকল্প জীবিকার জন্য ১৬ জেলে পেলেন বকনা বাছুর

মেলান্দহে জেসমিন প্রকল্পের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কিত প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত

জামালপুর : বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ শফিউল্লাহ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের আওতায় জেসমিন প্রকল্পের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কিত প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ মে বুধবার দুপুরে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকায় এ প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে কিশোরী পুষ্টি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপদ খাদ্য, প্রকল্প পরিচিতি ও কাউন্সিলিং কর্নারসহ তিনটি স্টল সাজানো হয়।

প্রচারণা সভায় বক্তব্য রাখেন জামালপুর নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, এম এ রশিদ হাসপাতালের পুষ্টিবিদ নুসরাত করিম আরিফা, ওয়ার্ল্ড ভিশন জেসমিন প্রকল্পের নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট নাহিদা ইসলাম আখি, উন্নয়ন সংঘের কর্মসূচি পরিচালক মোর্শেদ ইকবাল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান, জেসমিন প্রকল্পের সাব-ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর বিজন কুমার দেব। প্রচারণা সভা সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

বক্তারা বলেন, নারী ও পুরুষের সমতা আনয়ন ও নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারের পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। মূলত খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার গ্রহণ করা পর্যন্ত এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তারা আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে প্লাস্টিক ও মেলামাইন জাতীয় বাসনপত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড বিরোধী আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। হাত ধোয়ার বিষয়ে সকল বয়সের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এছাড়াও খাদ্য বৈচিত্র্য ও পুষ্টিকর উপায়ে খাদ্য রান্নার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

আলোচনা শেষে খাজা বাবা সত্য বাউল সংঘ নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কিত জামালপুর লোক সংগীত পরিবেশন করেন।

উল্লেখ্য, জেসমিন প্রজেক্ট ২০২৩ সাল থেকে জামালপুর জেলার সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ এই চারটি উপজেলায় কাজ করছে। এটি মূলত অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়ান এনজিও কো-অপারেশন প্রোগ্রামের (ANCP) মাধ্যমে বাস্তবায়িত এনএসভিসি প্রজেক্টের বর্ধিত অংশ। যা ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জামালপুর জেলায় কাজ করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই

মেলান্দহে জেসমিন প্রকল্পের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কিত প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৭:৩৫:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের আওতায় জেসমিন প্রকল্পের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কিত প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ মে বুধবার দুপুরে উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকায় এ প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে কিশোরী পুষ্টি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপদ খাদ্য, প্রকল্প পরিচিতি ও কাউন্সিলিং কর্নারসহ তিনটি স্টল সাজানো হয়।

প্রচারণা সভায় বক্তব্য রাখেন জামালপুর নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, এম এ রশিদ হাসপাতালের পুষ্টিবিদ নুসরাত করিম আরিফা, ওয়ার্ল্ড ভিশন জেসমিন প্রকল্পের নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট নাহিদা ইসলাম আখি, উন্নয়ন সংঘের কর্মসূচি পরিচালক মোর্শেদ ইকবাল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান, জেসমিন প্রকল্পের সাব-ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর বিজন কুমার দেব। প্রচারণা সভা সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের মনিটরিং কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।

বক্তারা বলেন, নারী ও পুরুষের সমতা আনয়ন ও নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারের পুষ্টি অবস্থার উন্নয়ন করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। মূলত খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার গ্রহণ করা পর্যন্ত এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তারা আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ নিশ্চিত করতে প্লাস্টিক ও মেলামাইন জাতীয় বাসনপত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুড বিরোধী আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। হাত ধোয়ার বিষয়ে সকল বয়সের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এছাড়াও খাদ্য বৈচিত্র্য ও পুষ্টিকর উপায়ে খাদ্য রান্নার কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

আলোচনা শেষে খাজা বাবা সত্য বাউল সংঘ নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সম্পর্কিত জামালপুর লোক সংগীত পরিবেশন করেন।

উল্লেখ্য, জেসমিন প্রজেক্ট ২০২৩ সাল থেকে জামালপুর জেলার সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ এই চারটি উপজেলায় কাজ করছে। এটি মূলত অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়ান এনজিও কো-অপারেশন প্রোগ্রামের (ANCP) মাধ্যমে বাস্তবায়িত এনএসভিসি প্রজেক্টের বর্ধিত অংশ। যা ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জামালপুর জেলায় কাজ করেছে।