ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

জামালপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ৩০

প্রতিপক্ষের হামলায় জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগত গাড়ি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

প্রতিপক্ষের হামলায় জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগত গাড়ি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ভাংচুর ও ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৩১ আগস্ট শনিবার বিকেলে আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মতবিনিময় সভায় ঢুকতে না পেরে বিএনপির একাংশের লোকজন হট্টগোল করে। একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র প্রদর্শন করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের ব্যবহৃত গাড়িসহ ২৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। আহত হয় অন্তত ২৫/৩০ জন নেতাকর্মী।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন সুশৃঙ্খল, ধৈর্যশীল হতে। যাতে করে কোনরকম বিশৃঙ্খলায় না জড়ায় তারা। এরই অংশ হিসেবে জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানে আয়োজন ছিল সীমিত। অনুষ্ঠান শুরুর আগে কেন্দ্রীয় একজন নেত্রী এবং নেতা ৩০/৪০ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে অনুষ্ঠানে ঢুকেন। দলের নির্দেশনা না মেনে তারা অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েন। তাদেরকে বোঝানো হলেও তারা আমাদের কথা মানেননি। পরিকল্পিতভাবে তারা সেখানে বিশৃঙ্খলা করে বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।

তিনি আরও বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটা বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে থাকার জন্য আমরা আসছি। এখানে জেলা বিএনপি অন্যায়ভাবে যে ক্যাটাগরি করছে তাতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেতে পারছে না। যারা ১৭ বছর জেল খেটেছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজে কোন দিন জেল খাটেনি, কোন মামলা নাই। আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে দল চালিয়েছে। আমাদের ছেলেদের ব্যবহার করে দল চালিয়েছে তাদের আজ ঢুকতে দেয়নি। এভাবে দল চলতে পারে না। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী তার কাছে নির্যাতিত হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

জামালপুরে বিএনপির দুই গ্রুপে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ৩০

আপডেট সময় ০৯:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪
প্রতিপক্ষের হামলায় জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পদক শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিগত গাড়ি। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ভাংচুর ও ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৩১ আগস্ট শনিবার বিকেলে আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলার বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মতবিনিময় সভায় ঢুকতে না পেরে বিএনপির একাংশের লোকজন হট্টগোল করে। একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র প্রদর্শন করে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের ব্যবহৃত গাড়িসহ ২৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। আহত হয় অন্তত ২৫/৩০ জন নেতাকর্মী।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিদিন দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন সুশৃঙ্খল, ধৈর্যশীল হতে। যাতে করে কোনরকম বিশৃঙ্খলায় না জড়ায় তারা। এরই অংশ হিসেবে জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানে আয়োজন ছিল সীমিত। অনুষ্ঠান শুরুর আগে কেন্দ্রীয় একজন নেত্রী এবং নেতা ৩০/৪০ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে অনুষ্ঠানে ঢুকেন। দলের নির্দেশনা না মেনে তারা অনুষ্ঠানে ঢুকে পড়েন। তাদেরকে বোঝানো হলেও তারা আমাদের কথা মানেননি। পরিকল্পিতভাবে তারা সেখানে বিশৃঙ্খলা করে বেশ কিছু গাড়ি ভাংচুর করে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।

তিনি আরও বলেন, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটা বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে থাকার জন্য আমরা আসছি। এখানে জেলা বিএনপি অন্যায়ভাবে যে ক্যাটাগরি করছে তাতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেতে পারছে না। যারা ১৭ বছর জেল খেটেছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজে কোন দিন জেল খাটেনি, কোন মামলা নাই। আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে দল চালিয়েছে। আমাদের ছেলেদের ব্যবহার করে দল চালিয়েছে তাদের আজ ঢুকতে দেয়নি। এভাবে দল চলতে পারে না। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী তার কাছে নির্যাতিত হয়েছে।