যমুনার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে, দেওয়ানগঞ্জে নদীতে বিলীন বসতি বাড়ি ও ফসলি জমি

দেওয়ানগঞ্জের নয়া গ্রামের সামছুল হকের বসতি বাড়ি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা, জিঞ্জিরাম, দশানি, ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে ফসলি জমি ও বসত বাড়ি। হুমকীর মুখে রয়েছে বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ঝালোর চর ও চিকাজানি ইউনিয়নের মন্ডল বাজার। হতাশায় রয়েছে নদী তীরবর্তী পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৬ জুলাই সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার চিকাজানি ইউনিয়নের বওলাতুলি, পশ্চিম কাজলাপাড়া, নয়াগ্রাম, ফারাজি পাড়া ৫০টি বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। হুমকীর মুখে রয়েছে মন্ডল বাজার। স্থানীয়রা ঘরসহ আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে নৌকা যুগে।

দেওয়ানগঞ্জের নয়া গ্রামের সামছুল হকের বসতি বাড়ি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নয়াগ্রামের ক্ষতিগস্ত সামছুল হক জানান, কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে তীব্র স্রোতে বসতিবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে।

আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে নৌকা যুগে। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের ঝালোর চর এলাকায় বাড়ি-ঘর ও ঝালোর চর জামে মসজিদ ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলিন হয়েছে। হুমকীর মুখে রয়েছে বসতি বাড়ি-ঘর ও ঝালোর চর বাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা জানান, নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং নদী ভাঙ্গন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য জিআর চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।