শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বশেফমুবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের মানববন্ধন

শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বশেফমুবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জড়িত বিএনপিনেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তারসহ তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদ। ২২ মে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু পরিষদ বশেফমুবিপ্রবি শাখার সভাপতি ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খান। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ড বশেফমুবিপ্রবি শাখার সভাপতি ড. মাহমুদুল আলম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সৈয়দ নাজমুল হুদা, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা মো. আব্দুল হালিম, ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. কাওসার আহমেদ স্বাধীন প্রমুখ।

শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বশেফমুবিপ্রবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে চলেছেন। তার নেতৃত্বেই সঠিক পথে ও অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ রোল মডেল।

তারা আরো বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা এগোলে বাংলাদেশ এগোবে। শেখ হাসিনাকে হুমকি দেওয়া মানে বাংলাদেশকে হুমকি দেওয়া। দেশের উন্নয়ন থমকে দেওয়ার হুমকি দেওয়া। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের আমরা রুখে দিবো। রাজশাহীর বিএনপিনেতা আবু সাঈদ চাঁদ শেখ হাসিনাকে হুমকি দিয়ে তাদের সীমা লঙ্ঘন করেছেন। আমরা এই সীমা লঙ্ঘনকারীকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ স্বতস্ফূর্তভাবে এই মানববন্ধনে অংশ নেন। এছাড়াও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এতে অংশ নেন।