ফাস্ট ফর হাঙ্গার সোসাইটির পাঁচ লাখ বেলা খাবার পরিবেশন সম্পন্ন

বক্তব্য রাখেন ফাস্ট ফর হাঙ্গারের সভাপতি রাফিউল ইসলাম রাফি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরসহ বাংলাদেশের ৬টি জেলায় সবচেয়ে বিপদাপন্ন দুইশ পরিবারের মাঝে ৬ বছরে পাঁচ লাখ বেলা খাবার পরিবেশন করে অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে জামালপুরে প্রতিষ্ঠিত ফাস্ট ফর হাঙ্গার সোসাইটি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এ উপলক্ষে জামালপুর হোটেল শ্যামল বাংলায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি রাফিউল ইসলাম রাফি।

১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাজু আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, প্রবেশন কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারুক মিয়া, ফাস্ট ফর হাঙ্গার সোসাইটির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ খান সাগর, উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক-কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল, অধ্যাপক আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, বাতিঘরের নির্বাহী আজিজা সুলাতানা প্রমুখ।

বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচাল রাজু আহমেদ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জানা যায়, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, বিধবাসহ যাদের আয়ের কোন উৎস নাই জরিপের মাধ্যমে সেসব পরিবার সন্ধান করে প্রতি সপ্তাহে তাদের মাঝে চাল, আটা সরবরাহ করা হয়। আমৃত্যু এদের মাঝে খাবার সরবরাহ করা হবে বলে সংস্থা সূত্র জানায়।

ফাস্ট ফর হাঙ্গারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাফিউল ইসলাম জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে সপ্তাহে দুইদিন রোজা রাখি। এছাড়া এ কার্যক্রমের ধারণা শোনে দেশী, বিদেশী মানবিক মানুষগুলো প্রতিমাসে খরচ কমিয়ে টাকা বাঁচিয়ে আমাদের সহায়তা করে। অসংখ্য মানুষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুদানে বাংলাদেশের ছয়টি জেলায় দুইশ মানুষের মাঝে খাদ্য সরবরাহ করে থাকি। অল্প অল্প ত্যাগে অনেক মহৎ কাজও যে করা যায় তার উদাহরণ আমরা তৈরি করছি। আমরা বাংলাদেশের জামালপুর, শেরপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, বগুড়া ও সিলেট জেলায় ৮টি স্পটে খাবারগুলো দিয়ে থাকি। কার্ডধারী মানুষগুলো খাবার পেয়ে যখন তৃপ্তির হাসি দেন তখন আমরা স্বর্গীয় সুখ অনুভব করি।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ব্যতিক্রম এ উদ্যোগ অন্যান্য এনজিওদের জন্য শিক্ষণীয়। এদের মতো সবাই এগিয়ে আসলে সমাজে একজন মানুষও নিরন্ন থাকবে না।