জামালপুরে একুশের গ্রন্থমেলা উদ্বোধনের সাথেই খুলে গেল পাবলিক লাইব্রেরির রুদ্ধদ্বার

বেলুন উড়িয়ে একুশের গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমনের কারণে বিগত দু’বছর পর জামালপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জামালপুরে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হলো পাঁচদিনব্যাপী একুশের গ্রন্থমেলা। একই সাথে সুদীর্ঘদিন পর জামালপুরবাসীর প্রাণের দাবি পাবলিক লাইব্রেরির রুদ্ধদ্বার খুলে দেওয়া হয়। গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।

জামালপুর স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোক্তার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মৌসুমী আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, জামালপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপ-অধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোজায়াত আলী ফকির, জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকাম, জেলা পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান হারুন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মেহবুবা জান্নাত লিজা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তারিকুল ফেরদৌস ও এমআই রাসেল।

মেলায় স্থাপিত স্টল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিমগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী ইমাম দুলাল, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ জলিলসহ সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিপুল সংখ্যক পাঠকপ্রিয় দর্শক, শ্রোতাদের উপস্থিতিতে মেলা প্রাঙ্গণ মুখর হয়ে উঠে।

গ্রন্থমেলায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মেলায় মোট ১৭টি স্টল স্থান পেয়েছে। আলোচনা সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন। প্রতিদিন মেলামঞ্চে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

মেলা প্রাঙ্গণে এসে ভাষা ও মুক্তিসংগ্রামী মতি মিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আশরাফুজ্জামান স্বাধীন বলেন, বইমেলা শুরু এবং পাবলিক লাইব্রেরি পুনরায় চালু করায় আমরা ভীষণভাবে উদ্দীপ্ত হয়েছি।

পাবলিক লাইব্রেরির অমূল্য সব বই নিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘরের পরিচালক হিল্লোল সরকার বলেন, এধরনের মেলা আমাদের চেতনাকে প্রবলভাবে শানিত করে। পাবলিক লাইব্রেরিকে আধুনিকায়ন করার তিনি দাবি জানান।

জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় তার বক্তব্যে বলেন, অনেক প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম গতিশীল করতে আমরা এই প্রাঙ্গণেই গ্রন্থমেলা আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। সকলে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আর কখনো বা আর্থিক সঙ্কটের কারণে পাবলিক লাইব্রেরি বন্ধ হবে না। লাইব্রেরিকে আধুনিকায়ন এবং পাঠকদের স্বাচ্ছন্দের জন্য সবধরনের ব্যবস্থা রাখতে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম