বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনকে একটি আদর্শ সেবাধর্মী ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, দক্ষতা ও যোগ্যতা কাজে লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী শেণিতে বিভাজন করে কার্যকর ও যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনকে একটি আদর্শ সেবাধর্মী ও জনকল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের নীতি সহায়তা, অর্থ ও জনবল সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। যুগোপযোগী নীতি ও আইনী কাঠামো, পর্যাপ্ত দক্ষ ও যোগ্য জনবল এবং প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা একটি টেকসই ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি ।

প্রতিমন্ত্রী ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষ (৪ ইস্কাটন, বড় মগবাজার) ঢাকায় বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন আয়োজিত ‘একটি টেকসই উন্নয়ন ভাবনা: বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের সম্ভবনা ও সমস্যা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন এদেশের বিশাল ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনগোষ্ঠীর আবেগ ও বিশ্বাসের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এর সাথে মুসলমানদের ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ ভাবনা জড়িত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াকফ প্রশাসনের কার্যক্রমে গতিশীলতা আসলেও আইনগত, প্রশাসনিক ও জনবল সীমাবদ্ধতার কার্যকর ও স্থায়ী সমাধান না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির অমিত সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছেনা। আজকের সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ এবং আলোচকবৃন্দের আলোচনা, মতামত ও সুপারিশ সমূহ বিবেচনায় নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে যুগপযোগী, কার্যকর ও জনকল্যাণমুখী করে টেকসই উন্নয়নের পথে পরিচালিত করা হবে।

সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধ ও অংশগ্রহণকারীদের আলোচনায় বাংলাদেশের ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় প্রেক্ষাপট, ঐতিহাসিক পরিক্রমা, আইনগত ভিত্তি, সাংগঠনিক কাঠামো, জনবল, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সহিত আন্তঃপ্রশাসনিক সম্পর্ক, মাঠ পর্যায়ে তদারকি ও সমন্বয় এবং সীমাবদ্ধতার বিষয়সমূহ ওঠে আসে।

সেমিনারে আলোচকগণ প্রতিষ্ঠানটির অমিত সম্ভবনার সাথে সাথে এর অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ, সমস্যা ও টেকসই সমাধানসমুহ তুলে ধরেন।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মাদ আব্দুল আওয়াল হালাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াকফ প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন। মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য- সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডরী এমপি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণর্স এর গভর্ণর ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররম এর খতিব আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা) মুহা. মুনীম হাসান, ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমান।

সেমিনারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধর্ম, আইন, অর্থ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় এর প্রতিনিধিগণ, প্যানেল আইনজীবী ও সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন।