গার্ডার চাপায় নিহতদের বাড়ি মেলান্দহে শোকের মাতম

মুত্তাছিম বিল্লাহ, মেলান্দহ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: রাজধানী ঢাকার উত্তরায় ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় নিহতদের মরদেহ এখনও জামালপুরে পৌছায়নি। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

জানা গেছে, নিহত ৫ জনের মধ্যে নববধূ রিয়া মনির শ্বশুর রুবেল মিয়ার মরদেহ মেহেরপুর, মা ফাহিমা বেগমের মরদেহ জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পার্থশী ইউনিয়নের ঢেংগারগড় গ্রামে বাবার বাড়িতে, ছোট বোন ঝর্না বেগম, তার ছেলে জাকারিয়া (৩) ও মেয়ে জান্নাত (৬) এর মরদেহ মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের আগ পয়লা গ্রামে দাফন করা হবে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পার্থশী ইউনিয়নের লাউদও গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের সাথে ৩০ বছর আগে একই ইউনিয়নের ঢেংগার গড় মিয়ার উদ্দিন মন্ডলের মেয়ে ফাহিমার বিয়ে হয়। আব্দুর রাজ্জাক ১০ থেকে ১২ বছর আগে স্বপরিবারে ঢাকায় চলে যান। ৫ থেকে ৬ বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর পর ফাহিমা বেগম ছেলে মেয়ে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। গত শনিবার মেহেরপুর জেলার বর্তমানে ঠিকানা ঢাকার কাউলা এলাকার রুবেল মিয়ার ছেলে হৃদয়ের সাথে ফাহিমা বেগমের মেয়ে রিয়া মনির বিয়ে হয়। সোমবার বৌভাত সেরে বরের কাউলা বাড়ি থেকে আশুলিয়া যাওয়ার পথে রাজধানীর উত্তরায় ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারে থাকা দুই শিশুসহ পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত বর হৃদয় (২৬) ও নববধূ রিয়া মনি (২১)। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীম উদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন, রুবেল মিয়া (৫০), ফাহিমা বেগম (৪২) ঝর্ণা বেগম (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (৩)। জানা যায়, বিআরটি প্রকল্পের জন্য নির্মিত একটি গার্ডার ক্রেন দিয়ে সরানো হচ্ছিলো। এসময় গার্ডারটি হঠাৎ রাস্তায় চলমান প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে যায়। গার্ডারটি ক্রেন থেকে ছুটে যায়নি, বরং ক্রেনের একপাশ উল্টে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ক্রেনটির ধারণক্ষমতা কম ছিলো কিংবা চালক ভুলভাবে সেটি অপারেট করেছেন।