জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক পদও হারালেন ডা. মুরাদ হাসান

জরুরি সভা শেষে ডা. মুরাদ হাসানের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার কয়েক ঘন্টার মধ্যে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে ডা. মুরাদ হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শৃংখলাভঙ্গ ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জরুরি সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, জেলার সরিষাবাড়ী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সদ্য পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রী এবং জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুরাদ হাসান তার সাম্প্রতিক বিব্রতকর, অসাংবিধানিক, অরাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত আচরণের কারণে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শৃংখলাভঙ্গ ও দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় নিমজ্জিত করেছেন।

এসব কারণে জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর ৯ ধারা অনুযায়ী সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে ডা. মুরাদ হাসানকে তার স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সভার এই সিদ্ধান্ত দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের ২০ মে অনুমোদিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির ওই পদ পেয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।

দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে কাউকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার জেলা কমিটির নেই। সেটি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের এখতিয়ার। ডা. মুরাদ হাসানকে বহিষ্কার সংক্রান্ত চিঠি রাতেই দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।

তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার চিন্তা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, বিষয়টি মহান জাতীয় সংসদের সংসদনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার শিরিন শারমীন দেখবেন। এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করা ঠিক হবে না।