মেলান্দহে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

মো. মুত্তাছিম বিল্লাহ, মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় শারমিন আক্তার (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার চর সগুনা গ্রামে এঘটনা ঘটে। শারমিন চর সগুনা গ্রামের ছলিম উদ্দিনের মেয়ে। তিনি জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অনার্স (অর্থনীতি) ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা অসুস্থ হওয়ায় পড়াশোনার খরচ যোগাতে অপারগতা প্রকাশ করে ও বিয়ে দিতে চায় শারমিনকে। মেধাবী শারমিন পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাড়াতে চেয়েছিলেন। পড়াশোনার ব্যয় নিয়ে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে শারমিনের মা তার বাবাকে চিকিৎসার জন্য কবিরাজের কাছে গেলে ফাঁকা বাড়িতে কাউকে না পেয়ে অভিমান করে গোসল খানায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়।

বিষয়টি প্রতিবেশীরা টের পেয়ে গোসলখানার দরজা ভেঙ্গে শারমিনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক দিলিপ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল পর্যবেক্ষণ করেন।

মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের কাছ থেকে শুনেছি। নিহতের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন নাই, শুধু গলায় ফাঁস দেওয়ার চিহ্ন থাকায় প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পারিবারিক অভাব-অনটনের জন্য আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে।