হাইতিতে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মোট ৩০৪ জনের মৃত্যু

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ ১৪ আগস্ট ভোরে হাইতিতে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের খুঁজে বের করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ৩০৪ জন নিহত হয়েছে এবং দুর্যোগে জর্জরিত ক্যারিবিয়ান দেশটিতে এই ভূমিকম্পে ভবন, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। দেশটি ২০১০ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

১৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮ টায় (১২৩০ জিএমটি) আঘাত হানা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী শহর পোর্ট-অ-প্রিন্সের ১০০ মাইল (১৬০ কিলোমিটার) পশ্চিমে। ভূমিকম্পে ভবন ও ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে, আতঙ্কিত লোকরা ছোটাছুটি শুরু করে।

দেশটির নাগরিক সুরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে গির্জা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল ও বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে। ভূমিকম্পে শত শত লোক ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছে, কমপক্ষে ১ হাজার ৮শ’ লোক আহত হয়েছে।

উদ্ধারকারীরা বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদেও খুঁজে বের করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন, নাগরিক সুরক্ষা এক টুইটে জানায়, “পেশাদার উদ্ধারকারী এবং জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধ্বংসস্তুপ থেকে অনেক লোককে উদ্ধার করা হয়েছে।” ইতোমধ্যে হাসপাতালগুলোতে আহতদের ভিড় উপচে পড়ছে।

ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, কয়েক ঘন্টা পরে এই সংখ্যা বেড়ে ৩০৪ জনে পৌঁছেছে।

হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিম উপদ্বীপের কেন্দ্রস্থলে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি, এই ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বেশীরভাগ অংশে অনুভূত হয়।

নাগরিক সুরক্ষা বিভাগ জানায়, শুধুমাত্র দেশের দক্ষিণ বিভাগেই কমপক্ষে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালগুলো ভূমিকম্পে নিহত এবং আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে দেশটিতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে, এতে ২ লাখের বেশী লোকের মৃত্যু হয়, আহত হয় প্রায় ৩ লাখ।