সরিষাবাড়ীতে বন্যার পানির তোড়ে সেতু দেবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নে ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত সেতুটি মাঝামাঝি ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি গার্ডারসহ ২ পিলার প্রায় ১ ফুট পানিতে দেবে যায়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় কামরাবাদ ইউনিয়নে ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত ২০০ মিটার সেতুর একাংশ দেবে যাওয়ায় সরিষাবাড়ী-মাদারগঞ্জের ২০টি গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহন। সেতুটি যে কোন সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলাচলের সেতুটি দ্রুত মেরামত করার দাবি এলাকাবাসীর। ২১ জুলাই দুপুরে উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর হুদুর মোড় শাহাজাদা হাট এলাকায় সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।

২১ জুলাই দুপুরে ওই এলাকায় ঘুরে জানা যায়, ২০০৬ সালে শুয়াকৈর হুদুর মোড় শাহাজাদা হাট এলাকায় ঝিনাই নদীর উপর ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণ করে উপজেলা প্রকৌশলী। উপজেলা সদর ও মাদারগঞ্জের সাথে সড়ক সংযোগের চরাঞ্চলের ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সেতু। গত কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টি ও বন্যার পানির তোড়ে ২১ জুলাই দুপুরে ওই সেতুর মাঝামাঝি ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি গাড়ারসহ ২ পিলার প্রায় ১ ফুট নিচের দিকে দেবে গেছে। খবর পেয়ে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ, প্রকৌশলী রাকিব হাসান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সেতুটির একাংশ দেবে যাওয়ায় পুরো সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মানুষ ও সকল যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে চরাঞ্চলের চররৌহা, চর নান্দিনা, চরহাটবাড়ী, সিধুলী, চুনিয়াপটল, সিংগুলি, খন্দবারবাড়ী, চরছাতারিয়া, আদ্রা, শুয়াকৈর, মাদারগঞ্চের চর লোটাবর, সেমগঞ্চ কালিবাড়ীসহ দুই উপজেলার ২০টি গ্রামের মানুষের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ওই এলাকার বাসিন্দা পল্লী চিকিৎসক হাফিজুর রহমান বলেন, সেতুটি ভেঙে গেলে যান চলাচলসহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়বে। এখানে শুকনা মৌসুমে সেতু নিচ থেকে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি তুলার কারণে দুটি পিলার দেবে গেছে। প্রশাসনের নজরে দেবার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

হুদুর মোড়ের বাসিন্দা আব্দুল সবুর অভিযোগ করে বলেন, সেতুর কাজ শুরুতেই নিম্নমান হয়েছে। এলাকার মানুষ বাধা দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেটা শুনে নাই। প্রশাসনের দ্বায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ বুঝে নেয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ এ প্রতিবেদককে বলেন, কামরাবাদ ইউনিয়নে ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত সেতুর মাঝামাঝি ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি গাড়ারসহ ২ পিলার প্রায় ১ ফুট নিচের দিকে দেবে যায়। সংবাদ পেয়ে ঘটনার স্থল পরিদর্শ করা হয়েছে। ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।