জামালপুরে মাদরাসাছাত্র শিশুসহ নতুন ৩ জনের করোনা শনাক্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর জেলায় নতুন করে এক শিশুসহ তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামপুর উপজেলার মাদরাসাছাত্র এক শিশু এবং মাদারগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার একজন গাড়িচালক। ১৩ এপ্রিল তাদের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে করোনা পজিটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এ নিয়ে জেলায় একজন মৃত নারীসহ ১১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হলো।

সূত্র জানায়, ইসলামপুর উপজেলার উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের জোয়ার্দারপাড়া গ্রামে করোনা আক্রান্ত শিশুটির বয়স ১০ বছর। সে ইসলামপুরের গাইবান্ধা ইউনিয়নের চর দাদনা গ্রামের একটি হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। মাদরাসা বন্ধ থাকায় সে বাড়িতে অবস্থান করছিল। ১১ এপ্রিল পেটের ব্যথার অসুখ নিয়ে বাড়ির নিকটবর্তী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যায় সে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পেটের ব্যথার ওষুধ লিখে দেওয়ার পাশাপাশি করোনা সন্দেহে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহে পাঠান। ১৩ এপ্রিল তার নমুনায় করোনা পজিটিভ এসেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক এ এ এম আবু তাহের জানান, শিশুটির বাড়িসহ জোয়ার্দারপাড়ার ৫০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

অপরদিকে একই দিনে করোনা শনাক্ত হওয়া মাদারগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের (সাকমো) বয়স ৩৪ বছর। তার বাড়ি জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল পূর্বপাড়া গ্রামে। ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি কর্মস্থল মাদারগঞ্জ হাসপাতাল থেকে সরিষাবাড়ীর গ্রামের বাড়িতে যান। সরিষাবাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ জানান, ডোয়াইল পূর্বপাড়ায় তার বাড়িসহ আশপাশের দশটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসানের পক্ষ থেকে তার পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য সহায়তা বাবদ পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

করোনা আক্রান্ত একই হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়িচালকের বয়স ৩৭ বছর। তিনি হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত বাসায় থেকে চাকরি করেন। তার বাড়ি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলায়। এর আগে একই হাসপাতালের একজন ফার্মাসিস্টের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর নতুন আক্রান্ত এই দু’জন হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জামালপুরের উপ-সিভিল সার্জন চিকিৎসক কে এম শফিকুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, নতুন করোনা আক্রান্ত তিনজনকে ১৩ এপ্রিল রাতেই জামালপুর সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। নতুন এই তিনজনসহ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ জনে। তাদের মধ্যে মৃত এক নারীর নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়।