সরিষাবাড়ীতে নির্দেশ অমান্য করে হাট-বাজারে মানুষের সমাগম

সরিষাবাড়ীতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জনসমাগম। ছবিটি ৩১ মার্চ বাস টার্মিনাল থেকে তোলা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা খুব একটা কাজে লাগেনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায়। বিভিন্ন গ্রামীণ হাট-বাজারে লোক সমাগম কিছুটা কম হলেও সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না অনেকটাই।

৩১ মার্চ বিকেল পর্যন্ত পৌরসভার বলারদিয়ার চৌধুরী বাজার, মহাদান ইউনিয়নের রাজার মোড় ও সেঙ্গুয়া বাজারসহ কয়েকটি গ্রামীণ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লোকজন ভিড় করে কেনাকাটা করছেন। লোক সমাগম সামান্য কিছু কম থাকলেও সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই। সকালে পৌরসভার শিমলা বাজার ও বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকটি স্থানে মানুষের অহেতুক জটলা। সাতপোয়া ইউনিয়নের কাঠের সেতু, পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া সেতু, রেলি সেতুসহ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে প্রতিদিন বিকেল হলেই ভিড় করে আড্ডা জমাচ্ছে মানুষ। ছুটি কাটাতে ঈদের আমেজে রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইকে চড়ে গ্রামের সড়কগুলোতে লোকজনদের দলে দলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। উপজেলার প্রধান হাট হিসেবে খ্যাত পৌরসভার আরামনগর বাজারে ৩০ মার্চ সারাদিন ছিল জনসমাগম।

এদিকে প্রধান প্রধান বাজারগুলোর ছোটখাট দোকানপাট সরিয়ে পার্শ্ববর্তী মোড়, খোলা মাঠ বা সেতুর উপর বসতে দেখা যাচ্ছে। এরমধ্যে পৌরসভার আরামনগর বাজারের পার্শ্ববর্তী ভুরারবাড়ি সেতু ও সাতপোয়া শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন নদীর পাড়ে মানুষের সমাগম বেশি থাকায় ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট চলছে।

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিয়মিত টহল এবং প্রশাসনের সার্বিক তৎপরতা থাকলেও নজর ফাঁকি দিয়ে নির্দেশ অমান্য করতে তৎপর অসাধু ও অতিউৎসাহী মহল। সরিষাবাড়ীতে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও শঙ্কা কাটাতে সরকারি উদ্যোগ কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে সংশয়ে সচেতন মহল।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ জানান, পৌরসভাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নেরর সর্বত্র জনসমাগম ঠেকাতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। তবুও কোথায় এমনটা হলে তা বন্ধ করতে থানার ওসিকে বলে দেওয়া হবে।