জামালপুরে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

জামালপুরে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের শোভাযাত্রা বের হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

শফিকুল ইসলাম শফিক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

‘পড়ব বই, গড়ব দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জামালপুরে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি জামালপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শহরের বকুলতলাস্থ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে শহীদ হারুন সড়ক সংলগ্ন জামালপুর সরকারি গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। পরে গণগ্রন্থাগারের মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুর সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান রামেন্দ্র সরকার সুমিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আলোচনা সবায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাষা ও মুক্তি সংগ্রামী কয়েস উদ্দিন, সংস্কৃতিকর্মী কবি সাযযাদ আনসারী, সহকারী অধ্যাপক তারিকুল ফেরদৌস, জেলা কালচারাল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সহকারী গ্রন্থাগার আরমান হোসেন প্রমুখ।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামালপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম ইবনে ঈমাম, শিক্ষার্থী সোমায়া আক্তার মিতু, শ্রীরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দা আশরাফুন নাহার অর্থি প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নূর আলম খাঁন সুজন। অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ।

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতীয় উন্নয়নে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। গ্রন্থাগার হচ্ছে জ্ঞানের ভাণ্ডার। জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজন পাঠ্যপুস্তকের গণ্ডিকে পেরিয়ে বাইরে বই পড়া। তাই সকলকে বই পড়া এবং গ্রন্থাগারে আসার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিৎ। প্রতিটি পরিবারকে তাদের সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা দরকার। তাহলে সন্তানরাও কাদামাটির মত পরিবারের দেখানো পথেই নিজেদের গড়ে তুলবে। একটি দেশ বা জাতির অগ্রগতি দেখলেই ধারণা করা যায় তাদের শিক্ষার অগ্রগতি। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই।

বক্তারা আরো বলেন, মানুষ এখন বই পড়া থেকে অনেক বেশি দূরে সরে যাচ্ছে। সমাজে যুবকরা মাদক ও অপসংস্কৃতির দিকে দাবিত হচ্ছে। সমাজের শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে হলে শুধু মাত্র পুঁথিগত বিদ্যার জ্ঞান আহরণ করলেই চলবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞানের প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য বেশি বেশি বই পড়তে হবে। তাহলেই আমাদের দেশ ও জাতি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।