যমুনা সার কারখানায় সারের ট্রাকে ৩৫ বস্তা আটা

এই ট্রাকটিতেই ইউরিয়া সারের বস্তার নিচে ৩৫ বস্তা আটা পাওয়া যায়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানায় ৩৫ বস্তা আটাসহ আমদানিকৃত ইউরিয়া সারবোঝাই একটি ট্রাক আটক করেছে সার কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা। ৪ ডিসেম্বর সকালে ট্রাকটিতে আটার বস্তার সন্ধান পায় কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা। এ নিয়ে বেশ তোলপাড় চলছে কারখানার ভেতরে বাইরে। বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সার কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

যমুনা সার কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার এন্ড ক্যামিকেল কোম্পানি থেকে আমদানিকৃত ইউরিয়া সারের একটি চালান আসে যমুনা সার কারখানার দ্বিতীয় ফটকে। ২০ মেট্টিক টন ইউরিয়ার সারবোঝাই ট্রাকটির নম্বর ঢাকা মেট্রো ট ১৮- ৯৭৩৩। কারখানার দ্বিতীয় ফটকে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বিভাগের হাবিলদার মো. কামরুজ্জামাননের কাছে সারের চালানের কাগজ জমা দেওয়ার সময় ট্রাকটির চালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান যে এই ট্রাক ও সার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের ৩৫ বস্তা আটা রয়েছে ইউরিয়া সারের বস্তার নিচে। ইউরিয়া সারগুলো খালাস করে তারা আটাগুলো ফেরৎ নিয়ে যাবে। এ সময় নিরাপত্তা হাবিলদার মো. কামরুজ্জামান নিয়ম লংঘন করে সারের ট্রাকে আটাসহ কারখানার ভেতরে প্রবেশ করার কারণে ট্রাকটি আটক করে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করেন।

যমুনা সার কারখানার নিরাপত্তা বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপক নুরুল আলম শিকদার বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ট্রাকচালক মো. সাইফুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। ট্রাকচালক স্বীকার করেছেন যে ট্রাকে ইউরিয়া সারের বস্তার নিচে ৫০ কেজি ওজনের ৩৫ বস্তা আটা আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

পরে কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান জাবেদ আনোয়ারের নির্দেশে কারখানার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ট্রাকটি পর্যবেক্ষণ ও ট্রাকের চালকের সাথে কথা বলে ট্রাকে সারের বস্তার নিচে ৩৫ বস্তা আটা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন। ট্রাকটি কারখানা এলাকার মেসার্স সরকার ট্রেডার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।

যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান জাবেদ আনোয়ার বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘আমদানিকৃত সারের ট্রাকটি আশুগঞ্জ থেকে এসেছে। ট্রাকে আটার বস্তা আছে জানার সাথে সাথে আমি ট্রাকটিতে থাকা ইউরিয়া সার, আটার বস্তা ও অন্যান্য প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোর তথ্য সংগ্রহে রেখে ট্রাকটি গেটের বাইরে বের করে দিতে বলেছি নিরাপত্তাকর্মীদের। এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি রাসায়নিক কারখানা। এর ভেতরে অবৈধভাবে কোনো কিছু নিয়ে প্রবেশ করার কোনোরূপ সুযোগ নেই। বিষয়টি তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’