জামালপুরে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

‘আমার গ্রাম আমার শহর’ এই আদর্শকে সামনে রেখে জামালপুরে স্থানীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ জুন জামালপুরে স্টার কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান।

জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর স্বদেশ চন্দ্র সাহা, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার নজরুল ইসলাম।

ধারণাপত্র সূত্রে এবং আলোচকদের বক্তব্যে থেকে জানা যায়, ২০১৬ সাল থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত মেয়াদে বৈশি^ক উন্নয়ন এজেন্ড বাস্তবায়নের পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে। এসডিজির ১৭টি অভীষ্টের আওতায় ১৬৯টি এবং ২৩২টি সূচক রয়েছে। বাংলাদেশে এসডিজি ওয়ার্কিং টিম এর তত্ত্বাবধানে ৩৯টি সূচকের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসডিজির অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। একটি অতিরিক্ত সূচক রাখা হয়েছে যে সব এলাকা নির্ধারিত সূচকের বাইরেও পিছিয়ে আছে সেখান থেকে নিজস্ব বিবেচনায় গ্রহণ করবে।
সারাদেশের মতো জামালপুরেও প্রতিটি ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা শেষে ২৪ জুন জেলা পর্যায়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। ছোট ছোট দলীয় আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার সূচক ধরে তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে আনা হয়। পাশাপাশি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সম্ভাব্য বাধাসমূহ এবং বাধা দূরিকরণে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সেটাও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়। বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষও সুনির্দিষ্ট করা হয়।

জামালপুরে এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জানা যায়, জামালপুরে টেকসই উন্নয়নে বেকারত্ব হ্রাস, জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, গুনগত শিক্ষা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জন্ম নিবন্ধন, নদী ভাঙ্গন রোধ, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়ন, কৃষিভত্তিক শিল্পায়ন, নকশিকাঁথা ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ইস্যু তুলে ধরে পরিকল্পনা করা হয়।

প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার তার সারগর্ভ বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করে বলেন, আজকের আলোচনাকে স্থায়ীত্বশীল করতে হলে এসডিজি চর্চা এবং এর প্রতিটি নির্দেশনা মেনে কাজ করতে হবে। চর্চা করতে হবে। সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এসডিজি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

sarkar furniture Ad
Green House Ad