মওলানা ভাসানী ও বিচারপতি আবু সাঈদ বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন

বক্তব্য রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি : মাহমুদুল হাসান মুক্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘মওলানা ভাসানী ও বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। এই দুই নায়কের কথা কি আপনি স্মরণ করেন? আজকে আপনার দায়িত্ব মওলানা ভাসানীকে ইতিহাসের অংশ করে স্কুলের প্রত্যেককে পড়ানো। আপনি যদি তাদেরকে না স্মরণ করেন এটা ভুল হবে।’

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে ১৭ মে বিকেলে ভাসানী অনুসারী পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শহরের মিয়াপাড়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল এবং প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, মুভমেন্ট ফর জাস্টিজ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এন এম তাপস পাঠান, ভাসানী অনুসারী পরিষদ জেলা শাখার উপদেষ্টা মনজুর কাদের খান বাবুল, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান রিপন ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইনজীবী রুকসানা বেগম প্রমুখ।

ভারতের সাথে পানি চুক্তি সমস্যার কথা উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘ভারতের সাথে আমাদের পয়লা বিষয় বিভিন্ন নদীর পানি বন্টন চুক্তির বিষয়টি পয়লা সুরাহা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনি এটি যতদিন সুরাহা না করবেন ততদিন ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে না। তাই আজকে কঠিন সময় এসেছে ভারত সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার। সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে দেশের গণতন্ত্র দরকার। দেশের বিচারব্যবস্থার সংস্কার দরকার। ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করা দরকার।’

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, ‘আপনি এই রমজান মাসে গণতন্ত্রের পথে আসুন। খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিয়ে তারপর মক্কায় যান। তা নাহলে ভারত যে কি করবে আপনাকে তা আমরা জানি না।’

পরে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।