নারী কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হতে পারে : বিশ্বব্যাংক

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : দক্ষিণ এশিয়ার অল্প যে কটি দেশ গত দশকে নারী কর্মসংস্থান বাড়িয়েছে বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। এতে নারী ও পুরুষের মধ্যকার পারিশ্রমিকের ব্যবধান উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। ২৮ এপ্রিল প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরো জেন্ডার সমতা সৃষ্টিতে নারীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির এ গতি ধরে রাখা উচিত।

প্রতিবেদনে ২০০৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ ২৬ থেকে ৩৬ শতাংশে বাড়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন স্বীকার করে নিয়েও বলা হয়েছে, এখনো নিয়োগ, অর্থায়ন ও অর্থনৈতিক সম্পদের ওপর সিদ্ধান্ত গ্রঞণ প্রক্রিয়ায় নারীর ক্ষমতা এখনো সীমিত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চমানের ও অধিক বেতনের চাকরিতে আরো বেশিসংখ্যক নারী নিয়োগ দেয়া সম্ভব হলে বাংলাদেশ আরো দ্রুত সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নারী শ্রমশক্তির এক তৃতীয়অংশেরও বেশি হলো অবৈতনিক পারিবারিক হেলপার।

বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বে নিয়োজিত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক পরিচালক রবার্ট সাউম বলেন, বাংলাদেশ বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রসহ বহু ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে নারীদের আরো অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। রিপোর্টে বলা হয় নারী শ্রমশক্তি বৃদ্ধিতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধা অপসারণ করা গেলে দেশের উৎপাদনশীলতার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবারিত হবে।

বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো কৃষি জমির মালিকানা নারীর তুলনায় পুরুষদের ছয়গুণ বেশি। এত বলা হয়, এখন গ্রামীণ নারীদের অনেকেই এক দশক আগের চেয়ে বেশি হারে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি দাবি করছে। তবে নারীদের একটা বড় অংশ এখনো তা ছেড়ে দিচ্ছে।

এখনো নারীদের মাত্র ৩৬ শতাংশের ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। অথচ পুরুষদের রয়েছে ৬৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বর্ধমান হলেও তা এখনো ক্ষুদ্র ও বিশেষ কিছু খাতে সীমাবদ্ধ। এছাড়া চাকরি পাওয়া ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে নারীরা অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।সূত্র : বাসস