দেওয়ানগঞ্জে ইউনিসেফ এর কার্যক্রম পরিবীক্ষণে যৌথ দলের আগমন

দেওয়ানগঞ্জ খরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম দেখতে গেলে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষকবৃন্দ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

নারী ও শিশু উন্নয়ন কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে ১২ ফেব্রুয়ারি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় আগমন করে জেলা যৌথ পরিবীক্ষণ দল। এতে নেতৃত্ব দেন জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর।

ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবয়নাধীন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিবীক্ষণ দলে অন্যন্যের মাঝে অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা, জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপপরিচালক মছিরনেছা, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, এলজিসি কর্মসূচির জেলা সমন্বয়কারী মোস্তাফিজুর রহমান টুকু প্রমুখ।

মাঠ পরিদর্শন শেষে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে স্থাপিত মঞ্চে মাঠ পরিবীক্ষণের বিভিন্ন ভালো ও ত্রুটিপূর্ণ বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দেওয়ানগঞ্জে ইউনিসেফ এর কার্যক্রম যৌথ পরিবীক্ষণ শেষে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

পরিবীক্ষণে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, শিশু সুরক্ষা, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, পরিচ্ছন্নতা, যোগাযোগ ও উন্নয়ন, বাল্যবিয়ে পরিস্থিতিসহ নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিনে দেখা হয়। প্রথমেই খরমা চন্দ্রাখালি শরিয়তুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষে পাঠদান পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরপর খরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন, গামারিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিদর্শন, দেওয়ানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমসহ উল্লেখিত বিষয়ের ওপর দিনব্যাপী পরিবীক্ষণ করেন যৌথ দলের সদস্যগণ।

মতবনিময় সভায় স্ব স্ব বিভাগের কর্মকর্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত ত্রুটির তথ্যসমূহ যাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার করেন। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পরিবীক্ষণ দলের আরো নিবিড় ও ঘন ঘন মাঠ পরিদর্শনের ব্যাপারে আলোচকবৃন্দ আহবান জানান। প্রকল্পে কর্মরত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য জোর সুপারিশ করা হয়।