সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
স্পিকারের কাছে সময় চেয়েও আর শপথ নেয়া হলো না জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ৩ জানুয়ারি রাতে তিনি ব্যাংককের হাসপাতালে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

অসুস্থতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন। দেশে না থেকেও সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা) আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন।

৩ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। তবে শপথ নেয়ার জন্য সময় চেয়ে তার চিঠি ৩ জানুয়ারি স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হয়।

এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রবীণ এই পার্লামেন্টারিয়ানের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। শোক জানিয়েছেন সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

এদিকে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারিতে ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এক কন্যার জনক। তার স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এরআগে ২০০৮ সালে মহাজোট সরকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে। বাবার হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্যে থাকা সৈয়দ আশরাফ দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ ও সবশেষ ২০১৮ সালে টানা পাঁচবার ওই আসনে বিজয়ী হন এই রাজনৈতিক পুরোধা।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ