জামালপুর-কুড়িগ্রামে দারিদ্র দূরীকরণে ১৯৫ কোটি টাকার প্রকল্প

প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম

আজিজুর রহমান ডল ॥
জামালপুর জেলার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় এবার পশ্চাদপদ জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার দারিদ্র্য দূরীকরণে ১৯৫ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে।

রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্তমান সরকারের একনেকের শেষ সভায় ৮৬ হাজার ৬৮৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ৩৯টি প্রকল্প পাশ হয়েছে। এরমধ্যে পশ্চাদপদ কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলার দারিদ্র দূরীকরণে ১৯৫ কোটি টাকার প্রকল্পটিও রয়েছে। জামালপুরের ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ এবং কুড়িগ্রাম জেলার কুড়িগ্রাম সদর, রাজিবপুর, রৌমারী ও চিলমারী এই আটটি উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী তীরবর্তী এসব উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক প্রকল্প চালু করাসহ বিভিন্ন সহায়তার মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে এ প্রকল্পের সমুদয় টাকা ব্যয় করা হবে।

একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামালপুরসহ দুই জেলার আটটি উপজেলায় দারিদ্র দূরীকরণে ১৯৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দুই জেলাবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। জামালপুর জেলাকে একটি উন্নত জেলায় রূপান্তরের লক্ষ্যে এ প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনি এ প্রকল্পের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে ৬৪টি জেলার মধ্যে ১০টি উন্নত জেলার তালিকায় জামালপুর জেলাকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাথে জামালপুর জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প এবং জেলার উন্নয়ন ও পরিচিতির তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৩৭ কোটি টাকার পাট গবেষণা উপকেন্দ্র প্রকল্প। এছাড়া শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, শেখ হাসিনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ বেশ কয়েকটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দুটি ইপিজেড, তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, কামালপুর স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন, তিনটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। একনেকে অনুমোদন পেয়েছে ৬০ কোটি ৮১ লাখ ১৭ হাজার টাকার ‘ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট প্রকল্প’। সব মিলিয়ে সারা জেলায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে অনেক প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কোনো কোনো প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিমাসেই যুক্ত হচ্ছে আরও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প।